বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কোন শঙ্কা না থাকার কথা জানালেন সেনাপ্রধান

প্রকাশিতঃ 8:24 pm | January 17, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলোঃ

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম ইস্যুর জেরে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় কোন শঙ্কা নেই বলেই মনে করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড.আজিজ আহমেদ।

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকায় আমরা কোন রকম শঙ্কা দেখছি না।’

রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ টরকী এলাকায় নিজের প্রয়াত বাবা আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

একাধিকবার মিয়ানমার সফরের কথা তুলে ধরে জেনারেল আজিজ আহমেদ আরও বলেন, ‘আমি একাধিকবার মিয়ানমার সফরে গিয়েছি। সেই সময় মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ছাড়াও তাদের নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানরা দ্বিপাক্ষিক মিটিংয়ে ছিলেন।

তখন আমাকে তারা জানান, তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকায় তারা অভিযান চালাচ্ছেন। ফলে তাদের সীমান্তে মাঝে মাঝে জনবল বৃদ্ধি করছে। এতে করে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের যে বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক রয়েছে, এ বিষয়টি অন্যভাবে চিন্তা না করার জন্য আমার মাধ্যমে তারা সরকারকে অনুরোধও জানিয়েছেন।’

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক নির্বাসিত ১১ লাখ রোহিঙ্গার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেনাপ্রধান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিষয়টি রাজনৈতিক। এ ব্যাপারে আমাদের সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে এবং আগামী দিনেও করবে।’

এ অনুষ্ঠানে চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুল, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুবুর রহমানসহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাবার নামে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ হাসপাতালের উদ্বোধন
সেনাপ্রধান জেনারেল ড.আজিজ আহমেদের পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুরে। তার প্রয়াত বাবা আব্দুল ওয়াদুদ ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের কর্মকর্তা। নিজের বাবার স্মৃতিকে চির জাগরূক রাখতে এখানকার মতলব উত্তরের দক্ষিণ টরকী এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ১০ শয্যা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’।

১০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতাল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। জেনারেল আজিজ আহমেদের পরিবার এ হাসপাতালটি গড়ে তোলার জন্য নিজেদের পরিবারের পক্ষ থেকে ৫১ শতাংশ জমি দিয়েছেন।

এ হাসপাতালটি নির্মিত হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ এখান থেকে স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। তাদের জন্য অবারিত এ সুযোগ নিশ্চিত করায় স্থানীয় এলাকাবাসী সরকার ও সেনাপ্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কালের আলো/এনএল/বিএমকে