ইন্দোনেশিয়ার ধসে পড়া স্কুল ভবন থেকে ৫০ মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিতঃ 1:06 pm | October 06, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক,কালের আলো:

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভায় গত সপ্তাহে ধসে পড়া স্কুলে ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্তত ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শেষ পর্যায়ে থাকলেও এখনও ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এটি চলতি বছর দেশটিতে হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিপর্যয় বলে দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স।

গত সোমবার রাজধানী জাকার্তা থেকে প্রায় ৭৮০ কিলোমিটার পূর্বে পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ধসে পড়ে। এতে স্কুলটির কয়েশ কিশোর ধসে পড়া কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা পড়ে ও পরে তাদের অনেকের মৃত্যু হয়।

সোমবার দেশটির দুর্যোগ প্রশমণ সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এক্সকাভেটর ব্যবহার করে রোববার রাতেই মধ্যে ৮০ শতাংশ আবর্জনা পরিষ্কার করেছেন। এ সময় তারা আটকা পড়া কিশোরদের মৃতদেহ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ খুঁজে পেয়েছেন।

দুর্যোগ প্রশমণ সংস্থাটির প্রতিনিধি বুদি ইরাওয়ান জানিয়েছেন, যে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে তার ভিত্তিতে মোট ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর ১৩ জন নিখোঁজের সন্ধানে তল্লাশি সোমবারের মধ্যেই শেষ হবে বলে উদ্ধারকারীরা আশা করছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে ইরাওয়ান বলেন, “এক ভবন থেকে হওয়া এ নিহতের সংখ্যা চলতি ২০২৫ সালে হওয়া সব দুর্যোগগুলোর মধ্যে বৃহত্তম। প্রাকৃতিক বা যে কোনো দুর্যোগের তুলনায় সিদোয়ারজোয় এক ঘটনায়ই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে।”

একই সংবাদ সম্মেলনে তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা বুদি ব্রাহ্মানত্য জানিয়েছেন, শরীরের আরও পাঁচটি অঙ্গ পাওয়া গেছে, এতে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫৪ জনে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

উদ্ধারকারীরা তাদের তল্লাশি অব্যাহত রেখেছেন। তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার শেয়ার করা ফুটেজে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগের কর্মীরা কমলা রঙের বডি ব্যাগে করে মৃতদেহ স্কুল ভবনের ধ্বংসাবশেষের বাইরে সরিয়ে নিচ্ছেন।

ভবনটির ধসে পড়ার কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিত্তি দুর্বল হওয়ায় উপরের দিকে আরও একটি তলা নির্মাণের ভার সেটি বহন করতে পারেনি।

আল খোজিনির মতো ইসলামিক স্কুল বা মাদ্রাসাগুলো স্থানীয়ভাবে ‘পেসানত্রেন’ নামে পরিচিত। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস ইন্দোনেশিয়ায়, যেখানে এমন প্রায় ৪২ হাজার ‘পেসানত্রেনে’ ৭০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে বলে দেশটির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে।

কালের আলো/এসআর/এএএন