ভারী বর্ষণে পাইকগাছায় হাজার হাজার মৎস্য ঘের প্লাবিত, জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিতঃ 6:45 pm | July 08, 2025

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিবেদক, কালের আলো:

খুলনার পাইকগাছায় কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে হাজার হাজার মৎস্য ঘের, আমন ধানের বীজতলা, সবজি ক্ষেত ও নার্সারি। বেড়েছে জনদুর্ভোগ।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনে একটানা দু’দফা ভারী বর্ষণে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় জলাবদ্ধতা আরও প্রকট হয়েছে।

পাইকগাছার গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলী ইউনিয়ন তুলনামূলক উঁচু এলাকা হলেও এবার সেখানেও পানি ঢুকেছে। পৌরসভার সোনা পট্টি, মাছ বাজারসহ বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গ্রামের অধিকাংশ কাঁচা-পাকা রাস্তা ও বসতবাড়ির উঠানে পানি উঠেছে।

কৃষক সামাদ গাজী জানান, আমার কুল, পেয়ারা ও লেবুর তিন হাজার চারা পানির নিচে। বাড়ির উঠানেও হাঁটু সমান পানি।

উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের কয়েকশ নার্সারি ক্ষেত ও সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। আমন ধানের বীজতলাও ক্ষতির মুখে পড়েছে।

বর্ষণের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক, কৃষকসহ শ্রমজীবী মানুষজন কাজে যেতে না পারায় অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে গেছে। কিছু এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে ড্রেন বন্ধ করে রাখায় জলাবদ্ধতা বেড়েছে।

গোলাবাটি, সলুয়া, নতুন বাজার ও জিরো পয়েন্ট এলাকার প্রধান সড়ক ভেঙে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়েছে। যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একরামুল হোসেন বলেন, ভারী বর্ষণে আমন ধানের বীজতলা ও সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নেমে গেলে চারার তেমন ক্ষতি হবে না।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক বলেন, উপজেলার প্রায় এক হাজার পুকুর ও তিন হাজারের মতো মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। যদি আরও বৃষ্টি না হয়, তবে দ্রুত পানি নেমে যাবে। না হলে কোটি টাকার ক্ষতি হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহেরা নাজনীন বলেন, নদীর স্লুইস গেট খুলে দেওয়াসহ ড্রেন পরিষ্কারে টিম কাজ করছে।

কালের আলো/এসএকে