দুদককে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি ভুলভাবে ব্যাখ্যা হচ্ছে: ফয়েজ তৈয়্যব
প্রকাশিতঃ 5:36 pm | July 07, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ফাইভ-জি উপযোগীকরণ নেটওয়ার্ক প্রকল্প চালিয়ে নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দেওয়ার বিষয়টি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ব্যক্তি স্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থই দুদকের সহায়তা চাওয়া হয়।
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, গত ২ মে বিটিআরসিতে এক কনফারেন্সে বাংলাদেশের ইন্টারনেটকে বিশ্বের মাঝে সর্বনিকৃষ্ট হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা হয়। বিটিআরসি এবং ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগ বর্তমানে একটি নতুন প্রজন্মের টেলিকম লাইসেন্স পলিসি নিয়ে কাজ করছে, যা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন ও জিএসএমএসহ প্রত্যেক আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার প্রধানতম নির্দেশনা।
এখানে বিশ্বে অপ্রচলিত এরকম লাইসেন্সগুলোকে ডিসকন্টিনিউ করার এবং বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ লাইসেন্সকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার একটা চেষ্টা হচ্ছে। এরপর থেকে কতিপয় মিডিয়া ও স্বার্থান্বেষী কমিউনিকেশন মাফিয়াদের রোষানলে পড়েছি।
বিগত সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক লং ডিসট্যান্স টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস (আইএলডিটিএস) নীতি চালু করে। এ নীতি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের (এমএনও) কার্যক্রমের সুযোগকে ব্যাপকভাবে সীমিত করে। তৎকালীন আওয়ামী সরকার মূলত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে একের পর এক লাইসেন্স দেয়, যারা এখনো সক্রিয় রয়েছে।
কালের আলো/এএএন