দুর্বল হয়ে ‘ফণী’ এখন বাংলাদেশে
প্রকাশিতঃ 8:53 am | May 04, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ক্রমশ দুর্বল হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় আকারে শনিবার (৪ মে) সকাল ৬ টার দিকে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (২৩.২ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৭ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছিল।
এটি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
সর্বশেষ আবহাওয়া বার্তায় শনিবার (৪ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। তবে সাগর খুবই উত্তাল।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর (পুন:) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও তাদের অদূরবর্তী
দ্বীপ ও চরগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর (পুন:) বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ (পুন:) সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নম্বর দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে মধ্যরাতে পুরীতে সবশেষ তাণ্ডব চালিয়ে কিছুটা দুর্বল হয়ে খড়গপুর হয়ে স্থলপথে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে ফণী। কমতে থাকে দাপট। পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, নদীয়া, কলকাতাসহ কোথাও কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি বয়ে গেছে। বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বাংলাদেশ পর্যন্ত আসতে আসতে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে ফণী।
কালের আলো/এনএল/এমএইচএ