ইতালির জার্সি পরেই ফেলেছিলাম: রাফিনহা 

প্রকাশিতঃ 8:20 pm | May 05, 2025

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:

ব্রাজিলে জন্ম নিয়েও ইতালির হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার তালিকায় আছেন জর্জিনহো, থিয়াগো মোত্তা, এমারসনরা। ওই তালিকায় যুক্ত হওয়ার খুব কাছে ছিলেন ব্রাজিলের বর্তমান জাতীয় দলের দুই ফুটবলার। একজন হলেন- গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, অন্যজন রাফিনহা।

বার্সেলোনার হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো রাফিনহা এক সাক্ষাৎকার জানিয়েছেন, তিনি ইতালির জার্সি প্রায় পরেই ফেলেছিলেন। তার ২০২১ সালের ইউরোয় খেলার কথা ছিল। ইতালি ফুটবলের প্রজেক্ট নিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফরা তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছেন। তিনিও রাজী হয়ে গিয়েছিলেন।

রাফিনহা বলেন, ‘আমি ইতালির ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম। তাদের প্রস্তাবে রাজি ছিলাম এবং ইতালির জার্সি পরার খুবই কাছে ছিলাম। আমার ২০২০ সালের ইউরোয় (যেটা ২০২১ সালে হয়েছিল) খেলার কথা ছিল। সৌভাগ্যবশত, আমি সময় মতো ইতালির পাসপোর্ট হাতে পাইনি।’

রাফিনহার বাবা ছিলেন ইতালিয়ান। তার মা সংকর ব্রাজিলিয়ান। রাফিনহার জন্ম ব্রাজিলে এবং রেস্তিগায় তার বেড়ে ওঠা। যেটাকে বস্তিই বলা চলে। গানের সূত্রে তার বাবা ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনহোর বন্ধু ছিলেন। সেই সূত্রে ব্রাজিল জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নই রাফিনিয়া দেখতেন। কিন্তু তিতের ব্রাজিল দলে জায়গা হবে না এমনটা ধরে নিয়েছিলেন।

অথচ পার্সপোট জটিলতায় ইতালির হয়ে খেলতে না পারার পরের মাসেই ব্রাজিল দলে ডাক পেয়ে যান রাফিনহা। খেলেছেন ব্রাজিলের হয়ে ২০২২ বিশ্বকাপে। এমনকি সব ঠিক থাকলে ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অন্যতম তারকা হয়েই পা রাখবেন তিনি। চলতি মৌসুমে বার্সার হয়ে ট্রেবল জিতে ব্যালন ডি’অরও উঠতে পারে তার হাতে।

রাফিনহা বলেন, ‘ওই সময় ইতালি জাতীয় দল থেকে বারবার আমাকে ডাকা হয়েছে। জর্জিনহো নিয়মিত কথা বলতেন। ইতালি দলের কোচিং স্টাফরা যে প্রজেক্টের বর্ণনা আমাকে দিয়েছিলেন, তা মনোযোগ কাড়ার মতো। তখনো অবশ্য আমার ব্রাজিলের হয়ে খেলার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ ছিল।’

রাফিনিয়ার উত্থান মূলত ২০২০ সালে। করোনা শুরু হওয়ার আগে প্রিমিয়ার লিগে ফেরা লিডসে যোগ দেন তিনি। ২০২০ সালে দারুণ ফুটবল খেলেন। পরের মৌসুমেও অসাধারণ খেলায় চেলসিতে খেলা ইতালির অধিনায়ক জর্জিনহোর মাধ্যমে ইতালির জাতীয় দলের আলোচনায় আসেন। লিডসে দ্বিতীয় মৌসুম চলাকালে চেলসি, আর্সেনাল ও লিভারপুল তাকে দলে নিতে লড়াইয়ে নামে। তবে রাফিনিয়া বেছে নেন বার্সেলোনাকে।

কালের আলো/এসএকে