পছন্দের এপিএস পাবেন মন্ত্রীরা

প্রকাশিতঃ 5:56 pm | January 10, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা নিজেদের পছন্দের পিএস না পেলেও এপিএস (সহকারী একান্ত সচিব) পাবেন পছন্দ মতো।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ দফতরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পছন্দের ব্যক্তিকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। তবে এখন থেকে পিএস সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে সময়ের প্রয়োজনে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করে সৎ, যোগ্য এবং পরীক্ষিত কর্মকর্তাদের একান্ত সচিব নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আশা করছি আগামীতে এই নতুন ব্যবস্থাটিই বহাল থাকবে।’

গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার ৪৬ জন সদস্যের প্রত্যেকের জন্য একান্ত সচিব (পিএস) নিয়োগ দেয় সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত দুটি আলাদা আদেশ জারি করে।

আগে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী তাদের একান্ত সচিব (পিএস) নিয়োগ দিত সরকার। তবে এবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকেই ঠিক করে দেয়া হয়েছে- কার পিএস কে হবেন।

পিএস পদে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে নিয়োগ দেওয়া হলেও এপিএস হিসেবে নিজেদের পছন্দে যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। শুধু খেয়াল রাখতে হয়, এপিএস যিনি হচ্ছেন, তার যেন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদে আবেদন করার ন্যূনতম যোগ্যতা থাকে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা অনুযায়ী এবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের মতামত ছাড়াই পিএস নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মূলত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের তদারকির অংশ হিসেবে অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এবার সরকারের পক্ষ থেকেই পিএস নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী তা অনুমোদন করায় একযোগ সব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর জন্য পিএস নিয়োগ দেয়া হয়।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার কারণে এপিএস পদে পলিটিক্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবার বাদ দেওয়ার প্রস্তাব ছিল। আর এপিএস হিসেবে সরকারের ক্যাডার সার্ভিস বা নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়ার একটি প্রস্তাবও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেসব আর বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

কালের আলো/এএ/এমএইচএ