চোখের চিকিৎসাকেও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিতঃ 12:56 pm | January 18, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

অন্যান্য চিকিৎসা সেবার সঙ্গে অবশ্যই চোখের চিকিৎসাকেও গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, আমরা চাই দেশের মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা যেন পান। এর জন্য এটা (চোখের চিকিৎসা) ফ্রি করে দিচ্ছি। অন্যান্য সেবার সঙ্গে অবশ্যই চোখের চিকিৎসাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের এ উদ্যোগের ফলে অনেক অন্ধ মানুষ চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন। এর মাধ্যমে উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চোখের সবধরনের সমস্যায় সেবা নিতে পারবেন রোগী।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৪৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এর আগে ৭০টি, এখন ৪৫টি উপজেলায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছি। লোকজন যেন সহজে হাসপাতালে আসতে পারেন সেজন্য রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, একটা সময় দেশের মানুষ বিভিন্ন রোগের যথাযথ চিকিৎসা পেত না, এখন পাচ্ছে। আমরা চাই হাসপাতালগুলোতে রোগীর সেবা আরও যেন বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে সবাইকে সহায়তা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপনে অনেকেই আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ডা. মোদাচ্ছের আলী, ডা. দ্বীন মোহাম্মদের কথা বিশেষভাবে বলতে চাই। এর সঙ্গে জড়িত সব ডাক্তারকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

আমরা সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করেছি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ায় করোনায় মৃত্যু কম হয়েছে। আমরা সাহস করে টিকা এনেছিলাম। বিনামূল্যে মানুষকে টিকা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা চিকিৎসা সেবার সঙ্গে গবেষণাও জোরদার করেছি। দেশের বড় বড় জেলাগুলোতে মেডিকেল করেছি। বিভাগগুলোতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব, সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। মেডিকেল কলেজগুলোতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে দেশের হাসপাতালগুলোতে বেড ছিল ৩৮ হাজার, এটি ৬৭ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। চক্ষু ইনস্টিটিউটসহ প্রতিটি ইনস্টিটিউট আওয়ামী লীগের সময়ে প্রতিষ্ঠিত। শিশু হাসপাতাল প্রতিটি বিভাগে হওয়া উচিত। শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে ট্যাক্স তুলে নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনায় ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ৫ হাজার শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শুরু করতে পারিনি। তবে শিগগিরই করে ফেলবো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ অনেকে।

কালের আলো/এসবি/এমএম