দুই-তিন দিনের মধ্যে চিনির দাম কমে আসবে : ভোক্তা ডিজি
প্রকাশিতঃ 6:42 pm | October 23, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
দুই-তিন দিনের মধ্যে চিনির দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেছেন, দুই-তিন দিনের মধ্যে চিনির দাম কেজিতে ১০০ টাকার নিচে নেমে আসবে। এতদিন গ্যাসের সাপ্লাই ঠিক না থাকায় চিনির উৎপাদন কমে গেছে। চিনির ফ্যাক্টরিতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ভোক্তা ডিজি এসব কথা বলেন। এ সময় চিনির ডিলার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক আরও বলেন, সংকটের অজুহাতে দাম বাড়ানো যাবে না। কেন দাম বাড়ানো হলো তা নিয়ে আজ থেকে কঠোর অবস্থা থাকবে আমাদের টিম। চিনির সংকটও থাকবে না। যার যত চিনি লাগবে সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, দেশে গ্যাস সংকটের প্রভাব পড়েছে চিনির রিফাইনারিগুলোতে। পাঁচটি রিফাইনারির উৎপাদন ২০-২৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল। সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ থেকে সব রিফাইনারিতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা হবে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বাজারে আগের মতোই চিনির সরবরাহ থাকবে।’
আরেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, ডিলারের কাছ থেকে চিনি কিনলেও রশিদ দেওয়া হয় না। যে কারণে ঝামেলা এড়াতে তিনি চিনি বিক্রি বন্ধ করেছেন।
এমন সমস্যার জবাব দিতে গিয়ে ভোক্তার ডিজি বলেন, চিনি কিনবো অথচ আমাকে রশিদ দেবে না, এটা কি মানা যায়? এটা হতে পারে না। রশিদ অবশ্যই দিতে হবে।
অভিযানের সময় মালের ক্রয় রশিদ না পেলে ওই ব্যবসায়ী অনিয়মে জড়িত এমনটা ধরে নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে দেন এই কর্মকর্তা।
গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারের একাধিক প্রতিষ্ঠান বাজার মনিটরিং করছে এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, সবার মতামত নিয়ে চিনির দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। কিন্তু বাজারে সংকট দেখা যাচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থা বাজারে আছে, বাজার মনিটরিং ও মিলে মনিটরিং করা হচ্ছে। আজ থেকে আমাদের অভিযান আরও কঠোর থেকে কঠোর হবে।
সফিকুজ্জামান আরও বলেন, আমাদের চাহিদা ১৮ লাখ টন। সেখানে সব আমদানিনির্ভর। দেশি কারখানায় মাত্র ২৪ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে যেটা খুবই নগণ্য। এলসি মাধ্যমের ম্যাটারিয়াল আছে, এটা রিফাইন করা যাচ্ছে না। আমরা সেখানে উৎপাদনটা ঠিক রাখতে পারলে সমস্যা থাকবে না। আজ থেকে গ্যাসের সংকট থাকবে না।
এ সময় অধিদফতরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বেশি দামে চিনি বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, সকালে বৈঠক করেছি, অভিযান জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। ক্রয়ের রশিদ থাকতে হবে কত দামে কিনছেন আর কত দামে বিক্রি করছেন। পাকা রশিদ যদি রাখেন তাহলে দাম কে বাড়ালো সেটা বোঝা যাবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মিলগুলোতেও অভিযানে যাবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কালের আলো/এসবি/এমএম