আগামী সংসদ নির্বাচনও না’গঞ্জের মতো সুন্দর হবে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 4:13 pm | January 17, 2022

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও নারায়নগঞ্জের মতো সুন্দর হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, গতকাল রোববার (১৬ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে যে নির্বাচন হয়েছে, ইনশাআল্লাহ আগামী (২০২৩ সালে) জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এরকম সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়। এমন সুন্দর নির্বাচন হয়েছে, প্রচারণা থেকে নির্বাচন পর্যন্ত কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে দৈনিক পত্রিকা ‘ভোরের আকাশ’র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এমব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলেও তারা ভিন্ন অবয়বে সব নির্বাচনেই অংশ নিয়েছে। সুতরাং তারা জানে, তাদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা এখন কোথায়।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ভালো পত্রিকার প্রয়োজন আছে। আমরা সেদিকে যাচাই-বাছাই করছি। ইতোমধ্যে ৪০০ পত্রিকা বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে তালিকা ও নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ব্রিফকেসনির্ভর পত্রিকা দেশে থাকবে না; যেখানে প্রকাশক নিজেই রিপোর্টার, নিজেই বিজ্ঞাপন সংগ্রাহক। নামধারী সাংবাদিকদের যন্ত্রণায় টেকা যায় না। আমরা এ ধরনের পত্রিকা বন্ধ করবো।’

তিনি বলেন, ‘আমি সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোকেও অনুরোধ জানাবো, আপনারাও এসব ভুয়া পত্রিকা বন্ধে কাজ করুন। অনেক গাড়িতে সাংবাদিক লিখে ইয়াবা পাচার করা হয়। অনলাইন পত্রিকায় এসব বেশি চলছে। অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড আমরা খুব সচেতন হয়ে দিচ্ছি। অনলাইন নিউজ পোর্টালের ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন। ভূতুড়ে অনলাইন ও নিবন্ধনহীন অনলাইনের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন ও সচিবালয়ের কার্ড দেওয়া আমরা বন্ধ করেছি।’

স্বাধীনতা থাকলেও সেটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অস্ত্র থাকলেই গুলি করা যায় না। সাংবাদিকদের কলম ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।’

দেশের উন্নয়নের খবরগুলো প্রচার হয় না মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক ফেডারেশনের প্রতি অনুরোধ, দেশের অনিয়ম নিয়ে যেমন সব পত্র-পত্রিকায় খবর আসতে হবে, তেমনি দেশের অগ্রযাত্রার খবরও আসতে হবে। করোনার সময়েও যে দেশ এত এগিয়ে গেলো, এটা তো খবরে এলো না। লেখনির স্বাধীনতা যেমন সমুন্নত রাখতে হবে, সেই সঙ্গে অপরের স্বাধীনতাও যেন খর্ব না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। এছাড়া সাংবাদিক নেতারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এসবি/এমএইচএ