রাজধানীতে চাঞ্চল্যকর চুরি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৪
প্রকাশিতঃ 5:31 pm | December 11, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
রাজধানীর ধানমন্ডিতে লন্ডন প্রবাসীর বাসায় চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় মোহাম্মদপুর থেকে মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর রাতে ধানমন্ডির একটি বাসার জানালার গ্রীলকেটে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময় চোর দলের সদস্যরা বাসার ভিতরে আলমারী, ওয়ারড্রপ ইত্যাদি ভাংচুর করে এবং প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
চুরির ঘটনাটি প্রবাসে অবস্থানরত বাড়ির মালিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখতে পান এবং পরবর্তীতে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচার করলে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে র্যাব-২ রাজধানীর মোহাম্মদপুর, এবং ঢাকা উদ্যান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে বলে জানান খন্দকার আল মঈন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা ধানমন্ডী-মোহাম্মদপুর এলাকা কেন্দ্রিক ৬-৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পেশার আড়ালে চুরি ও ছিনতাইয়ের মত কাজ করে যাচ্ছেন।

র্যাব মুখপাত্র বলেন, এই চোর চক্রের একজন অটোরিক্সা চালক সে চালকের আড়ালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ফাঁকা বাসা বাড়ী এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের খোঁজ খবর নেয়। গত ৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডি এলাকায় ফাঁকা বাড়ীর সন্ধান পায়। অটোরিক্সা চালক বিষয়টি নাসিরকে জানায় এবং নাসির তার ভাড়াকৃত মেসে ৫ চোর চক্রের সদস্যদের’কে নিয়ে পরিকল্পনা করার জন্য একত্রিত হয়। পরিকল্পনা মোতাবেক ৭ ডিসেম্বর রাত একটি ভ্যান নিয়ে চুরির উদ্দেশ্যে ধানমন্ডির পূর্বে নির্ধারিত বাসার দিকে রওনা করে।
ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের পাশে ৪জনকে নামিয়ে ভ্যান চালক অপেক্ষা করতে থাকে। বাড়ীর নিচে একজনকে পাহারায় রেখে ৩জন ৫তলা বাড়ির ৩য় তলায় সানশেড বেয়ে উপরে উঠে এবং জানালার গ্রীল কাটে। এরপর নাসির এবং ফরহাদ ভিতরে প্রবেশ করে। তারা বাসার অভ্যন্তরে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা দেখতে পেয়ে তা একটি কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখে। মুল্যবান দ্রব্য সামগ্রীর খোঁজে বাসার আলমারী এবং ওয়ারড্রব এর ড্রয়ার ভেঙ্গে ১টি গলার হার, ৫টি কানের দুল, ১জোড়া চুড়ি এবং নগদ অর্থ চুরি করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা জানায় যে, চুরির ঘটনার পরদিন সকালে তারা চুরিকৃত স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে তাদের পূর্ব পরিচিত আজাদের স্বর্ণের দোকানে যায় এবং ৫০,০০০.০০ টাকায় চুরিকৃত স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে দেয়। পরবর্তীতে উক্ত টাকা নাসির, ফরহাদ এবং সেলিমসহ দলের আরো ২জন নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। গ্রেফতারকৃত আজাদ স্বর্ণালঙ্কর কেনার সাথে সাথে তা গলিয়ে ফেলে বলে জানায় র্যাব।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল