রোগীদের অযথা পরীক্ষা দেবেন না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 6:38 pm | November 21, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় ৬০ ভাগ টাকা রোগীর পকেট থেকে খরচ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ওষুধের খরচই বেশি।
তিনি বলেন, দেশে বেসরকারি পর্যায়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরীক্ষা রোগীদের দিয়ে করানো হচ্ছে। এতে রোগীর খরচ বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ, রোগীদের অযথা পরীক্ষা দেবেন না।
রোববার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীরা বিনামূল্যে সেবা পান। তবুও দেশ থেকে অনেকেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান। সেক্ষেত্রে দেশের তুলনায় ১০ গুণ বেশি খরচ হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন অনেক ভালো। হার্টের বাইপাস অপারেশন কোনো না কোনো হাসপাতালে হচ্ছে। কিডনি ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা হচ্ছে। তবে, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত হওয়া দরকার। ক্যানসার, কিডনি ও হার্টের চিকিৎসায় আরও উন্নতি দরকার।
আট বিভাগে বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এগুলোতে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ক্যানসার, কিডনি ও হার্টের চিকিৎসা দেওয়া হবে। এসব হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হলে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে হবে না।
দেশের হাসপাতালগুলোতে খরচ আরও কমানো যেতে পারে বলে মনে করেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে যে পরিমাণ রিসোর্স থাকুক না কেন, ফান্ডিং, মেশিনারিজসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার যদি হয় তাহলে মনে করি খরচ অনেকাংশেই কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় একটু বেশি। চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধের দামও সেখানে বেশি হয়ে থাকে। এ বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, আলোচনা করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সার্বিক খরচ আলোচনার মাধ্যমে একটি সহনশীল পর্যায়ে আনা যায় কি না আমরা আলোচনা করেছি এবং পদক্ষেপ নিয়েছি।
হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে একটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু প্রমুখ।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল