ফরিদপুরে মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিতঃ 6:16 pm | September 28, 2021

কালের আলো সংবাদদাতা:
ফরিদপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যার অভিযোগে জিন্দাত আলী ওরফে পলাশ (৩২) নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জিন্দার আলী ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কদমী গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে স্বামীকে নির্দোষ দাবি করে কান্নাকাটি শুরু করেন তার স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রায় ঘোষণার পর জিন্দার আলীকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার স্বজনদের বিলাপ করতে দেখা যায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বপন কুমার পাল জানান, নিহত ওই মেয়েটি (২০) স্থানীয় একটি মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। মাদরাসায় আসা যাওয়ার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করতেন একই গ্রামের জিন্দার আলী। এক সময় বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। তবে মেয়েটি ও তার পরিবারের সদস্যরা এ প্রস্তাবে রাজি হননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হুমকি দেন জিন্দার আলী।
জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামের মনোয়ার শেখের মেয়ে রুপালীকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন একই এলাকার জিন্দার আলী শেখ ওরফে পলাশ। পরে জিন্দার আলী রুপালীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রুপালীর পরিবার ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। ২০১০ সালের ২০ মে রুপালী খানম বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। পরদিন তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণ শেষে হত্যার প্রমাণ মেলে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মনোয়ার শেখ বাদী হয়ে জিন্দার আলীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
ফরিদপুর জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) স্বপন কুমার পাল বলেন, মামলাটি আমি পরিচালনা করেছি। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা খুশি। সত্যের জয় হয়েছে।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল