কাঠগড়ায় ওসি প্রদীপের ফোনালাপ : ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
প্রকাশিতঃ 12:10 pm | August 25, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মুঠোফোনে কথা বলছিলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। আদালতে দায়িত্ব অবহেলার কারণে এক এসটিআইসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। কীভাবে ভাইকে হত্যা করা হয়, সেই বর্ণনা আদালতে উপস্থাপন করছিলেন তিনি।
বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তখন ১৫ আসামি। তাদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস। দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ দেখা যায় আসামি প্রদীপ কুমার কাঠগড়ায় বসেই মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। এই ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এই প্রদীপ কুমার দাস।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব-১৫। হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল