বাড়ি পৌঁছানোর কথা বলে গৃহবধূকে ধর্ষণ, আটক ১

প্রকাশিতঃ 10:32 pm | August 21, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম মো. কপিল মিয়া। লালমনিরহাটের আদিতমারী থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (২১ আগস্ট) বিকালে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন সচেতন নাগরিক তার পরিচিত এক নারীর দুর্ভোগ জানিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে লেখেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশকে ওই নারীর পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

বার্তায় তিনি লেখেন, তার পরিচিত এক নারী সন্তান ও স্বামীসহ সাভারের হেমায়েতপুরে বসবাস করছিলেন। ওই নারী একটি গাজীপুর চান্দুরায় একটি গার্মেন্টসে অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন। তার স্বামী একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি করেন। একদিন অফিস শেষে ওই নারী রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় পার্শ্ববর্তী অপর একটি গার্মেন্টসের পরিচিত গাড়ির ড্রাইভার কপিল মিয়া তার সামনে গাড়ি থামান। কপিল মিয়া ওই নারীকে জানান গাড়িটি ফাঁকা যাচ্ছে। তিনি ওই নারীর বাসার পাশ দিয়েই যাবেন। তাকে বাড়ি পৌঁছে দেবেন বলে জানান।

রাস্তায় যানজট ও গাড়ির সংকটের কথা বিবেচনা করে ওই নারী সরল বিশ্বাসে কপিল মিয়ার গাড়িতে উঠেন। পরে গাড়িটি অন্য কোথাও নিয়ে যান কপিল মিয়া। সেখানে গার্মেন্টস কর্মী সেই নারীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। কপিল মিয়া সেই ভিডিও ও ছবি তার স্বামী ও আত্মীয়দের কাছে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে এরপর প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওই নারী তার ডাকে সাড়া না দিলে কপিল মিয়া তার স্বামীর কাছে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠান। এতে সেই নারীর সংসার ভেঙে যায়। তখন ওই নারী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশ কিংবা আইনি সহযোগিতা নিতেও দ্বিধান্বিত ছিলেন সেই নারী। পুলিশকে এসব তথ্যদাতা ব্যক্তি ওই নারীর কোনো যোগাযোগের নম্বর বা ঠিকানা সরবরাহ করতে পারেননি। তবে, তিনি ওই নারীর এক নিকট আত্মীয়ের মোবাইল নম্বর সরবরাহ করেন। সেই সূত্র ধরে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স ওই নারী ও তার পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত কপিল মিয়া লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার সবদল গ্রামের বাসিন্দা। এই বার্তাসহ বিস্তারিত আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলামকে পাঠিয়ে তদন্ত করে দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশনা দেয় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে।

আদিতমারী থানার ওসির উদ্যোগে নানা স্থানে অভিযান চালিয়ে অবশেষে আসামিকে কপিল মিয়াকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কালের আলো/আরএস/এমএইচএস