ভোট বানচাল করতেই পুলিশের ওপর হামলা, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 8:08 pm | November 14, 2018

বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রাণহানি ঘটিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন সেন্ট্রাল হাসপাতালে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে, সংঘর্ষে আহত হয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের  খোঁজখবর নেন ও তাদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)। এসময় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, আজকের এই ঘটনা (সংঘর্ষ) স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে, তারা প্ল্যান করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে লাঠি নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করেছে। গাড়ি পোড়ানোর যে আনন্দ-উৎসব আপনারা দেখেছেন ।

ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশজুড়ে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে এবং নির্বাচন বানচাল করতেই সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক এই হামলা চালানো হয়েছে।

লাঠি, ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা করা হয়েছিল জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশ সদস্যরা বিশেষ করে মাথা, পা ও পেটে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। গুরুতর আঘাত না হলেও এর চেয়ে বেশি কিছু হলে প্রাণহানিও ঘটতে পারতো। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল প্রাণহানি ঘটিয়ে নির্বাচনকে বানচাল করা।

গত দুইদিন উৎসবমুখর পরিস্থিতিতে মনোনয়নপত্র কেনা-বেচা হচ্ছিল, আজ কেন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল কিংবা অন্য কোনো অশুভ চিন্তা তাদের থাকতে পারে। সারাদেশে নির্বাচনী উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল, যারা নির্বাচন চায় তারা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না। নিশ্চয়ই এটা ষড়যন্ত্রের অংশ।

হামলায় পুলিশের ২৩ সদস্য আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ৫ জন সিনিয়র পুলিশ অফিসার ও ২ জন আনসার সদস্য রয়েছেন। এ সময় পুলিশের ২টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরেকটি এপিসি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই মামলা দায়ের করা হবে। ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে, যারা গাড়ি পুড়িয়েছে, পুলিশের উপর হামলা করেছে তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, আজ দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায়। নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে এসময় টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ, করে লাঠিচার্জও। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

কালের আলো/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email