মোদির মন্ত্রিসভায় গাইবান্ধার নিশীথ, পৈত্রিক বাড়িতে আনন্দের ঢেউ
প্রকাশিতঃ 2:26 pm | July 11, 2021

কালের আলো সংবাদদাতা:
বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নিশীথ প্রামাণিক ভারতের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। সেই আনন্দের ঢেউ এসে লেগেছে বাংলাদেশে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ভেলাকোপা গ্রামে তার পৈত্রিক বাড়িতে।
বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিশীথ প্রামাণিক।
এ প্রাপ্তিতে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভেলাকোপা গ্রামে তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। খুশিতে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করছেন তারা।
জানা গেছে, দেশভাগের আগে নিশীথের বাবা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে চলে যান। কিন্তু তার কাকা ও জ্যাঠা এবং তাদের সন্তান সন্ততি এখনও ভেলাকোপায় বাস করেন। তারাই নিশীথের মন্ত্রী হবার সংবাদে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় প্রতিবেশিদের নিয়ে মিষ্টিমুখ করে আনন্দ উল্লাস করেছেন।
শনিবার (১০ জুলাই) নিশীথের জ্যাঠা দক্ষিণা রঞ্জন প্রামাণিক বলেন, ‘নিশীথের বাবার নাম বিধু ভূষণ প্রামাণিক। তিনি দেশভাগের আগে ভারতের কোচবিহারে পাড়ি জমান। সেখানে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বিধু ভূষণের একমাত্র সন্তান নিশীথ। আগেই ভারতের সাংসদ হয়েছেন নিশীথ। এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিলেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে এত অর্জন! প্রতিক্রিয়া জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।’
২০১৮ সালে ঢাকায় এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিক নিশীথ প্রামাণিক। ওই সময় তিনি ভেলাকোপায় বাপ-দাদার ভিটায় বেড়াতে এসেছিলেন। সময় কাটিয়েছেন এখানে বসবাস করা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে। ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক নিশীথ প্রামাণিক।
দক্ষিণা রঞ্জন প্রামাণিক আরও বলেন, ভারতে লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষকতা পেশা শুর করেন নিশীথ। কিছুদিন পরে শিক্ষাকতা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। প্রথমে ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার যুব সেক্রেটারি ছিলেন নিশীথ। এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে কোচবিহারের সাংসদ (এমপি) নির্বাচিত হন।
২০২১ সালে বিধানসভার ভোটে এমএলএ নির্বাচিত হন। নিশীথ শুধু আমাদের পরিবারের না পুরো গ্রামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাই আজ তারা আনন্দে আত্মহারা। এজন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ।
কালের আলো/এসকে/এমএম