জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প-কোর্ট ফি তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার ২
প্রকাশিতঃ 9:48 pm | July 08, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
রাজধানীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে সাড়ে ৬১ লাখ টাকা সমমূল্যের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও বাংলাদেশ কোর্ট ফি এবং এগুলো তৈরির সরঞ্জামসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন—আব্দুর রহমান হাওলাদার (২২) ও মো. আবুল কালাম শিকদার (৩৩)।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে র্যাব -১০ এর একটি দল রাজধানী ঢাকার কোতয়ালির তাঁতিবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল কোর্ট ফি ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মূল্যমানের ১০টি ডাইস প্লেট (২০ টাকার ৩টি, ১০ টাকার ৪টি, ৫ টাকার ২টি, ২ টাকার ১টি), ৫টি পজিটিভ, ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪ হাজার ৯২০ জব্দ করা হয়।
পরে বিকেলে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর কোতোয়ালি থানাধীন তাঁতিবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ৬১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা সমমূল্যের ৪০ হাজার ৮০০টি ২০ টাকার জাল কোর্ট ফি ও ৫ লাখ ৩৪ হাজারটি ১০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। ইতোমধ্যে তারা প্রায় আড়াই কোটি টাকার বেশি জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও জাল কোর্ট ফি বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছে।’

র্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসে সরকারি রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও বাংলাদেশ কোর্ট ফি তৈরির কথা থাকলেও তারা নিজেদের কারখানায় জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও জাল কোর্ট ফি তৈরি করত। এই চক্রটি ৪ লাখ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প বিক্রি করত মাত্র ৩২ হাজার টাকায়।’
প্রাথমিক অনুসন্ধানে র্যাব জানতে পারে, গ্রেফতার ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ জাল কোর্ট ফি ও জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুত ও বিপণনকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন ধরে জাল কোর্ট ফি ও জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুত ও সরবরাহ করে আসছিল।
গ্রেফতার আব্দুর রহমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দুই কোটি ১১ লাখ টাকা সমমূল্যের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, জাল নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও জাল কোর্ট ফি তৈরি এবং সরবরাহ করার অপরাধে একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলার তিনি পলাতক আসামি বলেও জানান অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।
কালের আলো/এসবি/এমএম