বোট ক্লাবে পরীমনির মদ খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল
প্রকাশিতঃ 10:17 pm | June 22, 2021

শোবিজ ডেস্ক, কালের আলোঃ
ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনি ও ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের নতুন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে সেই রাতে পরীমনি ও নাসির ইউ মাহমুদের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এরই মধ্যে ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পরীমনি ক্লাবে ঢুকেই বারের সামনে চেয়ারে বসে তার সঙ্গে থাকা অমি ও জিমিকে নিয়ে মদ পান করছেন। এ সময় দূর থেকে বোট ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নাসির ইউ মাহমুদ তাকে মদ পান করতে নিষেধ করেন। তখন পরীমনি একটি বোতল নিতে চাইলে নাসির ইউ মাহমুদ বলেন, আপনি কোনো বিদেশি মদ নিতে পারবেন না। এখানেও তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন পরিচালনা পর্ষদের এ সদস্য।
ভিডিওতে দেখা যায়, পরীমনিকে উদ্দেশ করে নাসির বলেন, হোয়াট ইজ দিস, প্লিজ স্টপ ইজ, ডোন্ট ডু দিস, ইটস টু মাচ।
নাসিরের উত্তরে পরীমনি বলেন, ‘অ্যাই যা…যা! বেরিয়ে যা!’
জানা গেছে, মদপানে বাধা পেয়েই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন পরীমনি। এরপর ক্ষুব্ধ পরীমনি ক্লাবে ভাঙচুর চালান। গ্লাস, প্লেট ভাঙেন এবং নাসির ইউ মাহমুদের দিকে বোতল ছুড়ে মারেন।
এর আগে বোট ক্লাবের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত সেই রাতের একটি ফুটেজ প্রকাশ পেয়েছিল। ওই ফুটেজে দেখা যায়, ৯ জুন রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে একটি কালো গাড়ি দাঁড়ায়। সেই গাড়ি থেকে পরীমনি, জিমি ও অমিকে নামতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর গাড়ি থেকে বের হন বনিও। ক্লাবের রিসিপশনেও অমির সঙ্গে পরীমনিসহ অন্যদের ঢুকতে দেখা গেছে ওই ফুটেজে।

গত ১৩ জুন রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাস দিয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন পরীমনি। স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে ওইদিন রাতেই বনানীর নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন এই অভিনেত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘গত বুধবার (৯ জুন) রাত ১২টায় আমাকে বিরুলিয়ায় নাসির উ মাহমুদের কাছে নিয়ে যায় অমি। ওই সময় নাসির নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে নাসির আমাকে মদ খেতে অফার করেন। আমি রাজি না হলে আমাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে করে সামনের দাঁতে আঘাত পাই। একপর্যায়ে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। তারপর আমাকে নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা করেন।
তার সংবাদ সম্মেলনের পরদিন ১৪ জুন ঢাকার সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন এ অভিনেত্রী। এতে নাসির ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার পরপরই রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে নাসির ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এর মধ্যে রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে, বোট ক্লাবের ঘটনার আগে পরীমনি তাদের ক্লাবে অসদাচরণ ও ভাঙচুর করেছেন। এক সহযোগীর ড্রেসকোড নিয়ে প্রশ্ন করতেই চটে যান তারা, ভাঙেন বেশ কিছু জিনিসপত্র। এরপর তারাই ৯৯৯ -এ কল করে পুলিশ ডাকেন।
এরপর বনানী ক্লাবে এক তারকা দম্পতির অনুষ্ঠানেও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে পরীমনির বিরুদ্ধে। জানা যায়, বিষয়টি পুলিশকে না জানানো হলেও ক্লাবের রেজিস্ট্রারে ‘অপ্রীতিকর’ ঘটনা হিসেবে নথিবদ্ধ করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল