মুজিববর্ষে শ্রেষ্ঠ করদাতাকে দেয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু’ পুরস্কার

প্রকাশিতঃ 10:07 am | September 09, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সেরা করদাতা ও সেরা ভ্যাটদাতাদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মুজিববর্ষে দেওয়া পুরস্কারের নাম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু পুরস্কার।

চলতি বছরের নভেম্বরে করমেলায় আয়কর ও ভ্যাট ক্যাটাগরিতে তিনজন করে মোট ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে এ পুরস্কার। এছাড়া, এনবিআরের বিভিন্ন দপ্তরের স্থাপন করা হবে বঙ্গবন্ধু কর্নার।

মূলত সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান হিসেবে ৬ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজস্ব বাড়াতে নিচ্ছেন নতুন নতুন উদ্যোগ। তারই অংশ হিসেবে এই পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, রাজস্ব বাড়াতে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস-সংক্রান্ত প্রায় ৪০ হাজার ঝুলে থাকা মামলার দিকেও নজর দিয়েছেন। কর ফাঁকিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সচেতন করারও নির্দেশ দিয়েছেন।

এভাবে এনবিআরকে বদলে দেয়ার দৃঢপ্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এই সিনিয়র সচিব। এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের সততার ঘাটতি নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে ভালো ম্যানেজার।

তাই এগিয়ে নিতে তার বিভিন্ন উদ্যোগ অবশ্যই ফলপ্রসূ হবে বলে তারা জানান। করোনা ভাইরাসে হতাশ না হয়ে চলতি অর্থবছরে বিশাল বাজেটের চাহিদা মেটাতে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। তাক লাগানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন— অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগ করলে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না।

ভ্যাটে ফাঁকি রোধ করতে সম্প্রতি চালু করেছেন ইএফডি। বিভিন্ন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের পুরস্কারস্বরূপ ২০১৯-২০-এর জন্য সরকার শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে নির্বাচিত করেছে।

সূত্রমতে, মহামারি করোনাকালে বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে তিন লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সরকার এর প্রকোপ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ছুটি ঘোষণা করে।

এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য একেবারে বন্ধ হয়ে যায় তিন মাস। তাই বিদায়ী অর্থবছরে টার্গেট অর্জনের ধারেকাছেও যেতে পারেনি এনবিআর। সংশোধন করে রাজস্ব তিন লাখ ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে দমে যাননি আবু হেনা মো. রহমাতুল মুমিন। চলতি বাজেটে রাজস্ব আয়ের তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।

করোনা ভাইরাসের কারণে রাজস্ব আদায়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় বকেয়া কর আদায়ে তৎপর হয়ে উঠছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সংস্থাটি রাজস্ব আদায় কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সব কর কমিশনারকে বকেয়া কর দাবির তথ্য হালনাগাদকরণ, কর্মপরিকল্পনা ও আইনগত সব কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।

পিএমএস চালুর উদ্যোগ : এদিকে কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে এনবিআরের চেয়ারম্যানের অধীনে আলাদা একটি শাখা (উইং) গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হলে এ শাখা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। একই সাথে কর্মকর্তাদের তথ্য চোখের সামনে দেখার জন্য পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (পিএমএস) চালুরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

কারণ কে কোথায় কর্মরত তা সহজে দেখা যায় না ম্যানুয়ালি পদ্ধতিতে। অনেকেই তদবির করে ভালো জায়গায় থাকছেন বছরের পর বছর। এতে অন্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কিন্তু পিএমএসে এক নজরে সব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত তথ্য দেখা যাবে। কে কোথায় কত বছর কর্মরত তা সহজে দেখার সুযোগ হবে। চেয়ারম্যানের এই উদ্যোগ অত্যন্ত ভালো। স্বচ্ছতা বাড়বে বলে কর্মকর্তারা জানান।

শুধু তাই নয়, রাজস্ব বোর্ডের অধীন প্রত্যেক কর অঞ্চল, ভ্যাট কমিশনারেট ও কাস্টম হাউসের গত পাঁচ বছরের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন, সম্ভাবনাময় খাত থেকে প্রত্যাশিত রাজস্ব আদায় না হওয়ায় বিকল্প উৎসের সন্ধান, রাজস্ব-সংক্রান্ত ঝুলে থাকা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি, বকেয়া কর আদায় কার্যক্রম জোরদার এবং উৎসে কর আহরণে তদারকি আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস-সংক্রান্ত প্রায় ৪০ হাজার মামলা বছরের পর বছর ঝুলছে। এসব মামলায় আটকে আছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রাজস্ব ফাঁকি ধরতে ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ : এবার রাজস্ব ফাঁকি ধরতে অ্যাকশনে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। তবে ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ব্যবসায়ীদের অযাচিত হয়রানি না করে কর ফাঁকিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন ও নজরদারি বাড়াতে কর, ভ্যাট এবং শুল্ক গোয়েন্দাকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। করোনাকালের বাজেটে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের টার্গেট অর্জনে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন।

মহামারি করোনাকালে এবার ভিন্ন মাত্রায় অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে এনবিআর। ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে চেয়ারম্যান গত ১৮ মার্চ এক সভা করে আমদানিরকারক, রপ্তানিকারক ও এজেন্টকে সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মশালা করতে কাস্টমস হাউসের কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। জাল-জালিয়াতি প্রতিরোধে ই-পেমেন্ট অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

অনিয়ম বন্ধে ইএফডির যুগে প্রবেশ : রাজস্ব আদায়ে আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার (ইসিআর)ব্যবহারের সুফল পায়নি এনবিআর। তাই উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মুজিববর্ষের উপহারস্বরূপ চালু করা হয়েছে ইএফডি।

চেয়ারম্যান বলেন, নতুন আইনে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আদায়ের জন্য ইএফডি মেশিন আগে বসানোর কথা থাকলেও করোনার কারণে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় অবশেষে দোকানে দোকানে ইএফডি বসানোর কাজ করা হয়। ভ্যাটের অনিয়ম বন্ধ করতেই ইএফডি চালু করা হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে ১০০ মেশিন বসানো হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে সারা দেশে এক লাখ ইএফডি মেশিন বসানো হবে। ভ্যাটদাতাদের (ভোক্তা) পুরস্কৃত করা হবে। ভ্যাট আদায়ে অনিয়ম বন্ধ করার জন্যই এই উদ্যোগ। তাতে ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও সরকার উপকৃত হবে।

ইলেকট্রিকেল ফিসকেল ডিভাইস (ইএফডি) হলো আধুনিক হিসাবযন্ত্র। এটি ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টারের (ইসিআর) উন্নত সংস্করণ। এ যন্ত্র বসানো হলে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত লেনদেন বা বিক্রির তথ্য জানতে পারবে এনবিআর।

ফলে ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে এবং আদায় বাড়বে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দৈনিক লেনদেনের তথ্য তদারকিতে রাজস্ব বোর্ডের সার্ভারের সঙ্গে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে ইএফডি মেশিন। সার্ভার ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে।

প্রশ্ন ছাড়া অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ : প্রতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে সরকার বেশি করে লক্ষ্যমাত্রা ধরছে। কিন্তু আদায় হচ্ছে না। এতে বিঘ্ন ঘটে বাজেট বাস্তবায়নে। অপরদিকে দীর্ঘ দিন থেকে আবাসন ব্যবসায়ীদের দাবি ছিলো প্রশ্ন ছাড়া অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়েগের।

তাই আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ বিশেষ কোনো ধরনের প্রশ্ন ছাড়াই অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করেছেন।

এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রশ্ন করতে পারবে না। আমরা সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কথা দিয়েছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করবে না।

এমনকি দুদকও প্রশ্ন করতে পারবে না। সরকার আইন করে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করতে বলেছে। তবে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নানাবিধ কারণে এ উদ্যোগ নেয়া হলেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু পুঁজিবাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

শুল্ক ও আয়করের দিকেও নজর : বিভিন্ন বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে এখনো বিভিন্ন ঝামেলা থেকে যাচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ। তা আমলে নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান কাস্টমস মডারেশনের জন্য সিঙ্গেল উইন্ডো চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এনবিআরের নিজস্ব অর্থে খুব শিগগিরই এর টেন্ডার হবে।

সব কাস্টমস অফিসে এটা চালু করা হবে। যাতে শুল্কায়ন সিস্টেম খুবই সহজ হয়। এখনো আয়করে সবাই অভ্যস্ত না। সিস্টেমের ত্রুটির কারণে অনেকেই ঝামেলা মনে করছে। তাই আয়কর প্রদানে সবার কাছে সহজ পন্থা বের করতে বিটেক্স আপগ্রেডেশনও চালু করা হবে। অনলাইনে এর কার্যক্রম চলবে।

মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করবে এনবিআর : বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতো এনবিআরও মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মর্সূচি হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ইএফডি চালুর পর আগামী ৩০ নভেম্বর আয়কর মেলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হবে। মেলায় শ্রেষ্ঠ আয়করদাতাদের বঙ্গবন্ধু পুরস্কার দেয়া হবে।

১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস ও মূসক সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ মূসক প্রদানকারীদেরও বঙ্গবন্ধু পুরস্কার দেয়া হবে। এছাড়া গত ২০ মার্চ থেকে আগামী মার্চ পর্যন্ত সময়ে ৩ মাস অন্তর অন্তর নাগরিক সেবা প্রদান পদ্ধতি সহজীকরণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত এনবিআর চেয়ারম্যান : প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের এ কর্মকর্তার অবসরোত্তর ছুটি স্থগিতের শর্তে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে এনবিআর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

পদাধিকারবলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগেরও সিনিয়র সচিব তিনি। সরকার তাকে মূল্যায়ন করেছে। দায়িত্ব নিয়ে তিনিও কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। তার এ উদ্যোগে কর্মকর্তারা উৎসাহী হয়েছেন।

তারা বলছেন, ভালো উদ্যোগে আমরা এগিয়ে যাবো। তার মধ্যে সততার ঘাটতি নেই। সিস্টেমেটিক উপায়ে চলতে চান তিনি। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে তিনি ভালো ম্যানেজার। এ জন্য কর্মকর্তাদের কাছে ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছেন তিনি।

যাতে রাজস্ব আহরণ করে করোনার ধকল কেটে ওঠা সম্ভব হয়। শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৯-২০-এর জন্য সিনিয়র সচিব ও সচিবদের মধ্য থেকে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে নির্বাচিত করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব হন তিনি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকার তাকে জ্যেষ্ঠ সচিব করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্বে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়া মুনিম নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ (ফিন্যান্স) ডিগ্রি নেন। আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ১৯৬১ সালের ৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

কালের আলো/এসবি/এমএম