বিক্ষুব্ধ গাজায় ইসরায়েলের গুলিতে ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিতঃ 10:47 pm | May 14, 2018

বিশ্ব ডেস্ক, কালের আলো:

পবিত্র জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে গাজা। ইসরায়েল বিরোধী ওই বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। এতে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৫২ জন, আহত হয়েছে ২ হাজারের বেশি। নিহত-আহতদের মধ্যে শিশুও আছে।

ভূমি দিবস উপলক্ষে গত ছয় সপ্তাহ ধরে গাজায় ইসরায়েল বিরোধী যে বিক্ষোভ চলছে, তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস খোলার দিনে এ ভয়াবহ হামলা চালানো হলো।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “এ পর্যন্ত অন্তত ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ হাজারের বেশি। গাজা সীমান্ত জুড়ে অবস্থান নেয়া দখলদার ইসরায়েলি স্নাইপাররা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সি এক শিশুও রয়েছে।

নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে গত ৩০ মার্চ থেকে ভূমি দিবস পালন করছেন ফিলিস্তিনিরা। তখন থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে ৪৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা হলেও ইসরায়েলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মার্কিন সরকার ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো এ বর্বরোচিত গণহত্যাকে সমর্থন করেছে।

সোমবারই জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন করার কথা। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প ও তার স্বামী জেরার্ড কুশনার উপস্থিত থাকবেন। এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা ওই সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ও আগুনবোমা ছুড়ছে। সেনাসদস্যরা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পাল্টা জবাব দিচ্ছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, জেরুজালেমে দূতাবাস খুলছে যুক্তরাষ্ট্র। এই দূতাবাস ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস হিসেবে কার্যক্রম চালাবে। মূলত তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা মনে করে, এই দূতাবাস খোলা মানে পুরো জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ নিতে ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের স্বীকৃতি দেওয়া। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনিরা।

গাজার ক্ষমতায় থাকা কট্টরপন্থী সংগঠন হামাস ছয় সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ করছে। তারা ‘সহিংস দাঙ্গা’ শুরু করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে সেনাবাহিনী।

কালের আলো/বিএকে

Print Friendly, PDF & Email