আতিক-তাপসের জয় নিশ্চিত করতে ছাত্রলীগের ‘টিমওয়ার্ক’
প্রকাশিতঃ 9:02 pm | January 18, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
তুঙ্গে উঠেছে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা। প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উত্তর ও দক্ষিণে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বিজয়ের ফসল ঘরে তুলতে বসে নেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগও। ইতোমধ্যেই দুই সিটিতে ওয়ার্ডভিত্তিক ১৪০ টি টিম গঠন করে বিরতিহীন প্রচারণা চালাচ্ছে সংগঠনটি। দক্ষিণ এবং উত্তরে সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।
তাদের সহকারী সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। প্রতিটি ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় দুইজন নেতা হচ্ছেন সমন্বয়ক আর মহানগরের নেতৃবৃন্দ হচ্ছেন সদস্য।
একই সঙ্গে দক্ষিণে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে বিরতিহীন প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন সভাপতি আল নাহিয়ান জয়। সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য উত্তরের প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
তরুণ ভোটারদের নৌকার দুই প্রার্থীর পক্ষে টানতে জয় ও লেখকের নেতৃত্বে ‘টিম ওয়ার্ক’ করছে ছাত্রলীগ। আগামী ০১ ফেব্রুয়ারির ভোটে দলীয় প্রার্থীকের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিদিন ঘাম ঝরাচ্ছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিএনপি’র দুই প্রার্থীর পক্ষে উত্তরে-দক্ষিণে ছাত্রদলের প্রচারণা চোখে না পড়লেও ঐক্যবদ্ধ ছাত্রলীগ ভোটের মাঠে নিজেদের অবস্থান প্রতিনিয়ত সুসংহত করছে।

ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের ‘ঐতিহ্যবাহী ঢাকা’ এবং আতিকুল ইসলামের ‘জবাবদিহিমূলক ঢাকা’ গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মকে একসুতোয় গাঁথতে দিন-রাত যেন একাকার জয় এবং লেখকের। আবার দুই সিটিতেই দল মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতেও নানা কৌশল গ্রহণ করেছেন তাঁরা।
দলীয় সূত্র জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইতোমধ্যেই ‘ওয়ার্ডভিত্তিক’ ৭৫ টি টিম গঠন করেছে। উত্তরে ওয়ার্ডভিত্তিক এ টিমের সংখ্যা ৬৫ টি। পাশাপাশি কেন্দ্রভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠনের কাজও চলছে। মূলত ‘ডোর টু ডোর’ ভোট প্রার্থনা করতেই এসব টিম গঠন করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে মেয়র এবং কাউন্সিলরদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।

একই সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সমন্বয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম নজরদারি করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ।
একইভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যরে সমন্বয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় কালের আলোকে বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডভিত্তিক টিমের সদস্যরা প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি এলাকাতেই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে জোয়ার উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভোটে তরুণ ও নারী ভোটাররা একটি বড় ফ্যাক্টর। ফলে তাদের সামনে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১১ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমরা ভোটারদের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। আমি মনে করি, আগামী ০১ ফেব্রুয়ারির ভোটে নৌকার প্রার্থীরাই শেষ হাসি হাসবেন। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পক্ষেই ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’
একই বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য কালের আলোকে বলেন, ‘জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ গোটা বিশ্বের বিস্ময়। এই উন্নয়নের ম্যাসেজ ভোটারদের সামনে তুলে ধরে আওয়ামী লীগের দুই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ভোট প্রার্থনা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের ওয়ার্ডভিত্তিক টিমের সদস্যরা ‘ডোর টু ডোর’ প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে করে তরুণ ভোটাররা উদ্দীপ্ত হয়ে উঠেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী ০১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। আমাদের দুই যোগ্য মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ৩০ জানুয়ারীর ভোটে বিজয়মাল্য পড়বেন।’

কালের আলো/এমএইচ/কেবি