গানে গানে আসিফের প্রচার; ভোট প্রার্থনায় এনেছে নতুন মাত্রা

প্রকাশিতঃ 8:46 pm | January 13, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় সাড়া ফেলেছিল ‘১৬ কোটি মানুষের একটাই ডিসিশন, জিতবে নৌকা, জিতবে জনগণ, জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’।

আওয়ামী লীগের সেই জনপ্রিয় গানের সুরের আশ্রয়েই নিজের ‘থিম সং’ সাজিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসিফ আহমেদ।

‘শেখ হাসিনার সালাম নিন, আসিফ ভাইয়ের সালাম নিন, ঘুড়ি মার্কায় ভোট দিন, জয় বাংলা/এসেছে এসেছে আবার নির্বাচন, ভোট দিতে জন জনগণ/ ৩৩ ওয়ার্ডের একটাই ডিসিশন, আসিফ ভাই জিতলে জিতবে জনগণ/৩৩ ওয়ার্ডে আমাদের আসিফ ভাই, আসিফ ভাইয়ের কোন বিকল্প নাই/করতে হলে এলাকার উন্নয়ন, আসিফ ভাইকে সকলের প্রয়োজন।

সময়ের সঙ্গে ভোটের প্রচার-প্রচারণার চিত্র বদলে দিয়েছেন উদ্যমী তরুণ আসিফ আহমেদ। গানে গানে তাঁর জন্য চাওয়া হচ্ছে ভোট। গানের মাধ্যমে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি। তাঁর প্রচারণার এমন অভিনব কৌশল উৎসাহ নিয়েই উপভোগ করছেন সাধারণ ভোটাররা।

ডিএনসিসির ৩৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সেলফোনে যেমন বাজছে এই গান তেমনি বাজছে মাইকেও। শুধু মাইকেই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী আসিফ আহমেদকে নিয়ে চলছে তুমুল প্রচার।

চিরাচরিত পোস্টার, বিলবোর্ডের পাশাপাশি ডিজিটাল প্রচার-প্রচারণায় সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতিশীল এই তরুণ রাজনীতিক।

নিজের ভোটের প্রচারণায় ১ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের এই গানটির পাশাপাশি মাইকে প্রচার করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা। ৩৩ নং ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী অফিসগুলোতে অবিরাম বেজে চলেছে আসিফের ভোট চাওয়ার গান। ভোট রণে এবার এসব গান তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে ৩৩ নং ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আসিফের ঘুড়ি প্রতীকের পোস্টারে ছেয়ে গেছে ৩৩ নং ওয়ার্ডের অলিগলি সব জায়গা। গানে গানে ভোটের প্রচারের এমন মাত্রা ওয়ার্ডটির সব প্রান্তেই বিরাজ করছে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ওয়ার্ডের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রিকশা চালক, মুদি দোকানি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ভাবনায় ভোটই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। কারাগারে থাকা ওয়ার্ডটির বর্তমান কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের নানা কান্ডকীর্তিতে ভোটাররা হ্যাপিত্যেশ করলেও সম্ভ্রান্ত আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান আসিফকে ঘিরে তারা নতুন মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন।

সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি অবস্থান করে দেখা গেল, আসিফকে ঘিরে ভোটারদের উৎসাহ উদ্দীপনা বেশি। সবার মুখেই ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থীকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা। ভোটাররা অন্য প্রার্থীদের কথা শুনলেও অমায়িক আচরণ, পারিবারিক ব্যাক গ্রাউন্ড, জনসেবার সঙ্গে সম্পৃক্ততাসহ নানা কারণে আসিফকে নিয়েই তাদের আগ্রহ বেশি।

অনেক ভোটাররাই বলছেন, ভোট কাকে দেবেন এবং কেন দেবেন, এই সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই তারা নিয়ে নিয়েছেন। আসিফকেই সমস্যায় জর্জরিত ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিতের পাশাপাশি সন্ত্রাস-মাদমুক্ত ওয়ার্ড উপহার দিতে পারঙ্গম প্রার্থী হওয়ায় ভোটের মাঠে বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন। নির্বাচনের আরও ১৭ দিন বাকী থাকলেও আগেভাগেই ভোটাররা তার দিকে হেলে পড়েছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, ডিএনসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আসিফকে জেতাতে কোমরবেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ইতোমধ্যেই আসিফের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণার মাঠ জমিয়ে দিয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সোমবার (১৩ মার্চ) আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী বর্তমান সংসদ সদস্য সাদেক খানও আসিফকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি সরাসরি আসিফের ভোট ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ না করলেও শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের চূড়ান্ত বার্তা দিয়েছেন।

আসিফ আহমেদের নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জানায়, আসিফের পক্ষে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুকের বিভিন্ন পেজসহ নানামুখী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলটির অঙ্গসংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ডিজিটাল প্রচারণার বিষয়ে ডিএনসিসির ৩৩ নং ওয়ার্ডের আ.লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আসিফ আহমেদ বলেন, ‘জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। ফলে আমরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও প্রচারণা চালাচ্ছি।

কারণ নতুন প্রজন্মের ভোটাররা অনলাইনে সক্রিয়। তারা ফেসবুক এবং ইউটিউবেই থাকেন এবং দেখেন। নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে সবার সহযোগিতায় আমি ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডকে পাল্টে দিতে চাই। শুধু স্লোগানে নয়, নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করতে চাই বাস্তবে; অক্ষরে অক্ষরে।’

কালের আলো/সিএইচ/আরআর

Print Friendly, PDF & Email