তারেককে দেশে ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা বলছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 11:19 am | April 18, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরিয়ে এনে আদালতের মুখোমুখি করার অঙ্গীকার করেছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে লন্ডনে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প : নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে ভাষণ দেয়ার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ ব্যাপারে আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি এবং অবশ্যই একদিন আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।”

তারেক রহমানকে আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য সরকারের সমালোচনাও করেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্য একটি অবাধ স্বাধীনতার দেশ এবং এটি সত্যি যে, যে কোনো ব্যক্তি এখানে আশ্রয় নিতে এবং শরণার্থী হতে পারে। তবে তারেক রহমান অপরাধের কারণে আদালত কর্তৃক একজন দণ্ডিত ব্যক্তি। আমি বুঝতে পারি না, একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে কিভাবে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে।”

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখিয়ে আসছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মন্ত্রীরা উভয় দেশ সফর করেছেন। সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের সকল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।”

তিনি বলেন, “মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ দেখালেও বাস্তবে তারা কিছুই করেনি। তাই আমরা চাচ্ছি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করুক।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্ষা মৌসুমের আগমনে সেখানে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। তাই সরকার সকল ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদের একটি ভালো জায়গায় স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “খাদ্যসহ আমরা তাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সবকিছুই করছি। আমরা তাদের জন্য সেখানে কিছু ভবন ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, “অনেক শরণার্থী সীমান্তে অবস্থান করছে। সেখান থেকে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে মিয়ানমার নিয়ে গেছে। এর মাধ্যমে সম্ভবত তারা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছে যে, তারা ফেরত নিচ্ছে। এটি শুভ লক্ষণ। তবে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে কেন?”

কালের আলো/এমকে/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email