আগামী বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি যাবে অধিকাংশ হজযাত্রী: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 5:47 pm | November 05, 2019

কালের আলো ডেস্ক:
আগামী বছর অধিকাংশ হজযাত্রী সরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদিআরব প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, হজ ব্যবস্থাপনার নতুন নিয়ম অথবা নতুন কোনো আইন করার আগে সর্বাধিক হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোর সঙ্গে সৌদি সরকার আলোচনা করলে হজযাত্রীরা আরও বেশি উপকৃত হবেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ওয়ার্ল্ড হজ ও উমরা কনভেনশনের দ্বিতীয় দিনে লন্ডনে বৃটিশ পার্লামেন্টে হাউজ অফ লর্ডসের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাকক্ষে হজ ও উমরা নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হজযাত্রীরা আল্লাহর মেহমান, তাদের সেবায় নিয়োজিত হওয়া ইবাদতের বিশেষ। তাই হাজিদের নিয়ে ব্যবসা করা উচিত নয়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশি মেয়ে হাউজ অফ লর্ডসের সদস্য মন্জিলা ব্যারোনেস উদ্দিন। ২২ বছর আগে থেকে তিনি বৃটিশ পার্লামেন্টে এ দেশের জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে বৃটিশ পার্লামেন্টে স্বাগত জানান মন্জিলা উদ্দিন। এ সময় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

ওয়ার্ড হজ ও উমরা কনভেনশনে অংশগ্রহণকারী স্বাগতিক যুক্তরাজ্যের জেদ্দায় নিযুক্ত কনসাল জেনারেল, সৌদি আরব, সুদান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়াসহ অন্তত ২৫টি দেশের হেড অফ ডেলিগেশন ও তাদের সফরসঙ্গী, হজ এজেন্সি, বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানীর প্রতিনিধিরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
হজ ও উমরা যাত্রীদের পরিবহন, আবাসন, ক্যাটারিং সার্ভিস ও মিনা- আরাফা, মোজদালিফায় হাজিদের নানা সমস্যা এবং তা সমাধানের কৌশল নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
বাংলাদেশি হজ ও উমরা যাত্রীদের মোবাইল সিম ব্যবহারে যুক্তরাজ্যের একটি মোবাইল কোম্পানীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীরা আল্লাহর মেহমান, সেবার পরিবর্তে তাদেরকে নিয়ে ব্যবসার চিন্তা করা অনৈতিক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২০ সালের হজ ব্যবস্থাপনা হবে সর্বোত্তম। এ জন্য সর্বোচ্চ হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মতবিনিময় অব্যাহত থাকবে বলে জানান শেখ আব্দুল্লাহ।
প্রি-ডিপারচার ইমিগ্রেশন ও হজযাত্রীদের দ্রুত লাগেজ পৌঁছে দেওয়াসহ এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের ব্যাপক প্রশংসা করেন উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।
কালের আলো/এনআর/এমএম