প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে এনআরসি, তিস্তা ও রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে
প্রকাশিতঃ 6:30 pm | October 02, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তা, এনআরসি ও রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে। তিনি এসব ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন , তিনি বলেন, সীমান্তে হত্যা, সন্ত্রাসবাদবিরোধী সহযোগিতা, বাণিজ্য, নৌপরিবহন, বন্দর ব্যবস্থাপনা, বিবিআইএম (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালকে নিয়ে গঠিত উপআঞ্চলিক জোট), অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন সংক্রান্ত কাঠোমো চুক্তি, রোহিঙ্গা, উন্নয়ন, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফর উপলক্ষে বুধবার (২ অক্টোবর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা জানান।
তিনি আরও জানান, এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া, সমুদ্র গবেষণা, অর্থনীতি, বাণিজ্য, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষাসহ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা আছে।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকা সফরের সময় বলেছিলেন, ‘এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের ওপর এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’ গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি তুলেছিলেন। তখন মোদি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যে উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে, সেখানে এসব ছোটখাটো বিষয় কোনও সমস্যা হবে না।’
পরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তবে ভারতের কোনও কোনও রাজনীতিবিদ উদ্যোগী হয়ে বিষয়টি তুলছেন এবং এটি দেখতে হবে।

তিনি বলেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এনআরসি তৈরি করা হয়েছে। এটি করতে সময় লেগেছে ৩৪ বছর। ফাইনাল করতে কত সময় লাগবে, জানি না।
পানি সংক্রান্ত বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তিস্তাসহ মোট ৮টি নদীর রূপরেখা কাঠামো নিয়ে আলোচনা করবো।
রোহিঙ্গা বিষয়ে তিনি বলেন, চীনের উদ্যোগে আমরা ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠক করছি। ওই বৈঠকে চীনের পীড়াপীড়িতে মিয়ানমার মাঠপর্যায়ে একটি গ্রুপ তৈরি করায় রাজি হয়েছে। এই কমিটি প্রত্যাবাসনে কাজ করবে।
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ওই বৈঠকে মিয়ানমার আরও স্বীকার করেছে, যাদের যাচাইবাছাই করা হবে তাদের প্রত্যেককে ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড দেওয়া হবে। এর আগে মিয়ানমার এ কথা বলতো না। এখন চীনের কারণে এ কথা বলে।
চীনের একটি প্রস্তাব ছিল—রোহিঙ্গাদের রাখাইনে নিয়ে গিয়ে পরিবেশ দেখানোর, মিয়ানমার রাজি হয়নি।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ইন্ডিয়ান ইকোনমিক সামিটে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
কালের আলো/বিআর/এনএল