চলন্ত বাসে নার্সকে ধর্ষণ-হত্যায় ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিতঃ 11:13 pm | August 08, 2019

কালের আলো প্রতিবেদক:

কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় স্বর্ণলতা বাসের চালক ও হেলপারসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের তিন মাসের মাথায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) সারোয়ার জাহান বৃহস্পতিবার(৮ আগস্ট) দুপুরে জেলা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুনের আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

বৃহস্পতিবার(৮ আগস্ট) প্রেস বিফ্রিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ বিষয়টি জানিয়েছে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছি। কোনও আসামি এ মামলা থেকে পার পাবে না। আমরা এ মামলাটির ব্যাপারে দ্রুত সব কার্যক্রম গ্রহণ করছি। পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, আসামীদের মধ্যে ছয় জন গ্রেফতার ও তিন জন পলাতক রয়েছে। বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু, হেলপার লালন মিয়া এবং বাসচালকের খালাতো ভাই বোরহান সরাসরি ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত ছিল বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- স্বর্ণলতা বাসের চালক নুরুজ্জামান নুরু, হেলপার লালন মিয়া, বাস মালিক আল মামুন, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া, বকুল মিয়া, বোরহান, আল আমিন ও স্বর্ণলতা বাসের এমডি পারভেজ সরকার পাভেল।

মামলার চার্জশিট পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাসের চালক নুরুজ্জামান নুরু, তার খালাতো ভাই বোরহান ও বাসের হেলপার লালন মিয়া তানিয়া ধর্ষণ এবং হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তারা তানিয়াকে বাসের ভেতর পালাক্রমে ধর্ষণের পর বাস থেকে ফেলে হত্যা করে। মাথায় প্রচণ্ড আঘাতের ফলে তার মৃত্যু হয়। পরে তারা তানিয়ার মরদেহ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে পালিয়ে যায়। অন্য ছয় আসামি তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সহযোগিতা করেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মে রাতে ঢাকার মহাখালী থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পিরিজপুর রুটে চলাচলকারী ‘স্বর্ণলতা’ নামের বাসে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। তিনি কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মো. গিয়াসউদ্দিনের মেয়ে। তানিয়া ইবনে সিনা হাসপাতালের কল্যাণপুর ক্যাম্পাসে সেবিকা পদে কর্মরত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের বিলপাড় গজারিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তানিয়া ঢাকা থেকে কটিয়াদী ও বাজিতপুরের পিরিজপুর হয়ে নিজ গ্রামে ফিরছিলেন।

এ ব্যাপারে গত ৭ মে তানিয়ার বাবা মো. গিয়াসউদ্দিন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

কালের আলো/এআর/এমএম