চিকিৎসার টাকা নেই এরশাদের!
প্রকাশিতঃ 11:19 pm | June 27, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
টাকার অভাবে চিকিৎসা মিলছে না জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। দলীয় নেতাকর্মীরা তার চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে না পারায় প্রকারান্তরে নিজেদের আর্থিক দৈন্যতার কথায় উপস্থাপন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।
তিনি বলেছেন, পার্টির চেয়ারম্যান অসুস্থ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আজ মৃত্যুশয্যায়। উনার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা আমরা জোগাড় করতে পারিনি।
এ বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ আরো বলেন, এরশাদ সাহেবকে দেশের বাইরে নিয়ে যাবো, সেই অবস্থাও উনার নেই। যদি বাইরে নেওয়ার মতো অবস্থা হয়, তাহলে আমরা উদ্যোগ নেবো। আমরা আশা করি তিনি সুস্থ হয়ে আবার সংসদে বসবেন।
অসুস্থ এইচ এম এরশাদকে নিয়ে বিএনপির কটাক্ষ করারও কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, অসুস্থ এরশাদ সাহেব সিএমএইচে আছেন। যমে-মানুষে টানাটানির অবস্থা বলতে পারেন- বিএনপি তাকে নিয়ে কটাক্ষ করছে। ‘এই বৃদ্ধ- এই বুড়ো আর কতদিন বাঁচবে’ এ ধরনের অশালীন ভাষা বিএনপির লোকেরা ব্যবহার করছেন।
‘যে মানুষটি ৯ বছর দেশ শাসন করেছে, মানুষের জন্য একবুক পানিতে নেমে যিনি ত্রাণ বিতরণ করেছেন, তার সম্পর্কে এই অশালীন ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। মানুষের ওপর অন্যায়-অত্যাচার করেছে, এর জন্য আজকে তাদের এই পরিণতি হয়েছে।’
সংসদে বিরোধী দলের প্রয়োজনীয়তার কারণেই জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের অবস্থানে রয়েছে দাবি করে রাঙ্গা আরও বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যদি বলতেন আমরা সরকারে থাকবো। আমরা একসঙ্গে নির্বাচন করেছি, সরকারে আমরা থাকতে পারতাম। কিন্তু যেহেতু বিরোধী দলের প্রয়োজন, সে কারণেই আমরা বিরোধী দলে রয়েছি।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকা মেড সার্ভেন্ট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এরশাদ সাহেব যখন জেলে ছিলেন তখন তার বাথরুমেও সিসিটিভি দেওয়া হয়েছিল। যেন উনি লাফ দিয়ে জেল থেকে পালিয়ে যাবেন। মনে হতো আহম্মকের স্বর্গে বাস করছে। ওই আহম্মকের স্বর্গে প্রধানমন্ত্রী জানতেন না তাকেও জেলে যেতে হবে। এরশাদ সাহেবকে দেখবালের জন্য কোওন লোক দেওয়া হয়নি।
খালেদা জিয়ার জেলে যাওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে রাঙ্গা বলেন, ‘দুনিয়ার ধার, দুনিয়ায় শোধ হয়। আমরাও তাই দেখে গেলাম। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেও দেখেছেন।’
কালের আলো/এআর/এমএম