ডিআইজি মিজান চাইলে আত্মসমর্পণ করতে পারেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 3:27 pm | June 26, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ডিআইজি মিজান চাইলে আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেছেন, ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলে তিনি অবশ্যই গ্রেফতার হবেন। তিনি চাইলে আত্মসমর্পণ করতে পারেন।
বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে ‘মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী’ আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলে অবশ্যই তাকে গ্রেফতার করা হবে। এছাড়া তিনি যদি আত্মসমর্পণ করতে চান, তাহলে তিনি করতে পারবেন। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ডিআইজি মিজান আত্মগোপনে বিদেশে চলে যেতে পারেন কিনা এমন প্রসঙ্গে মন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।
এর আগে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাদক নির্মূল করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা ডিমান্ড, সাপ্লাই ও পুনর্বাসনের বিষয়ে সমানতালে কাজ করছি।
ডিমান্ড হ্রাসের ক্ষেত্রে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করার দিকে জোর দিচ্ছি। এ আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণকে যুক্ত করে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর গত বছর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ হাজার ৮৯৮টি সভা আয়োজন করেছে। ২৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি করা হয়েছে।
সাপ্লাই হ্রাস করতে বর্ডার এলকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, যারা মাদকের চোরাকারবারি করে আসছে, তাদের আর এ কাজ করতে দেওয়া হবে না। মাদকের চোরাচালান যে কোনো মূল্যে বন্ধ করা হবে।
আইন-শৃঙ্খল বাহিনীর তৎপরতায় অনেক জায়গায় মাদক কারবারিরা আত্মসমর্পণ করছেন। যদি তারা স্বেচ্ছায় মাদক ব্যবসা না ছাড়ে, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। যারা অবাধ্য তাদের ব্যবস্থা নিরাপত্তা বাহিনী করবেন। আমরা কিছুতেই আমাদের যুব সমাজকে হারিয়ে যেতে দেবো না।
যারা মাদকসেবী তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সমানতালে কাজ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আসন বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া, সরকারি হাসপাতালগুলো ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালেও মাদকাসক্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ।
কালের আলো/এনএল/এমএম