আ.লীগের অফিস বন্ধ করতে ভারতকে বাংলাদেশের বার্তা
প্রকাশিতঃ 7:32 pm | August 20, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির নেতাদের একটি বড় অংশ এখন অবস্থান করছেন প্রতিবেশী দেশ ভারতে। সেখানে বসেই তারা রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন এবং দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। দেশে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকার পরও প্রতিদিন নানা উস্কানি দিচ্ছেন। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দিল্লি ও কলকাতায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় চালু করেছে। জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্ত দলটি যেন দেশটিতে বসে অফিস খুলে কার্যক্রম চালাতে না পারে সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এটি দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতকে।
বুধবার (২০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই বার্তা দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিষিদ্ধ’ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের অফিস ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং কলকাতায় স্থাপনের খবরে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। ভারতের মাটিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশবিরোধী কার্যকলাপের পটভূমিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী গুরুতর অপরাধের কারণে একাধিক ফৌজদারি মামলায় পলাতক থাকা এ দলের বহু জ্যেষ্ঠ নেতা ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থান করছে। এর আগে, ২১ জুলাই এক অজ্ঞাত এনজিওর আড়ালে এ নিষিদ্ধ দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা দিল্লি প্রেস ক্লাবে এক জনসংযোগ কর্মসূচি আয়োজনের পরিকল্পনা করে এবং পরবর্তী সময়ে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করে। এ পর্যন্ত ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে এ দলের কর্মকাণ্ডের ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে, যা ভারতের মাটিতে পরিচালিত হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড—বিশেষত নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতা বা কর্মীরা ভারতের মাটিতে বৈধ বা অবৈধভাবে অবস্থান করে পরিচালিত কার্যকলাপ, যার মধ্যে অফিস স্থাপনও অন্তর্ভুক্ত—বাংলাদেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ। এ ধরনের ঘটনা পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ভারত-বাংলাদেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে ঝুঁকির মুখে ফেলে এবং বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক রূপান্তরের জন্যও গুরুতর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি এটি বাংলাদেশের জনমনে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে, যা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার চলমান প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।
ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারতের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, ভারতের মাটিতে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের মাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড যেন পরিচালিত না হয় এবং এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই অনুমোদন বা সমর্থন না দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
কালের আলো/এসআর/এএএন