সাড়ে ১৫ হাজার আয়কর মামলা অডিটের জন্য নির্বাচন করেছে এনবিআর

প্রকাশিতঃ 12:00 pm | July 16, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৩-২৪ করবর্ষে সারাদেশের ১৫ হাজার ৪৯৪টি আয়কর রিটার্ন অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে এবার ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি।

বুধবার (১৬ জুলাই) এনবিআরের জনসংযোগ দফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এনবিআর জানিয়েছে, আয়কর রিটার্ন অডিটের জন্য রিটার্নগুলো ‘র‍্যান্ডম সিলেকশন’ বা দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হয়েছে। এতে কোনো ধরনের পক্ষপাত নেই। বাছাই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি কম্পিউটার-ভিত্তিক ও স্বয়ংক্রিয়।

অডিট নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এনবিআর বলছে, তারা ইতোমধ্যে ‘ঝুঁকি-ভিত্তিক নিরীক্ষা নির্বাচনের মানদণ্ড’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এটি হবে একটি পূর্ণাঙ্গ অটোমেটেড সিস্টেম। তবে এখনো সব পেপার রিটার্ন বা অফলাইনে জমা দেওয়া ফাইলের তথ্য ডিজিটাল ডেটাবেজে যুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এই সীমাবদ্ধতার কারণে আপাতত বিকল্প পদ্ধতিতে অডিট নির্বাচন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিটি কর অঞ্চল বা সার্কেল থেকে শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ (০.৫%) রিটার্ন দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়েছে। এইভাবে নির্বাচন করায় সুযোগ পেয়েছে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির করদাতারা।

তবে বিশেষ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর— গত দুই করবর্ষে যেসব করদাতা অডিটের আওতায় ছিলেন, এবার তাদের অডিট তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে একদিকে যেমন পুনরাবৃত্তি এড়ানো গেছে, তেমনি বাড়ানো গেছে করদাতাদের আস্থা।

এনবিআর জানিয়েছে, যদিও র‍্যান্ডম সিলেকশন পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা থাকে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায়ের নিশ্চয়তা তাতে মেলে না। তাই ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা আরও এগিয়ে নিচ্ছে তারা।

শিগগিরই সব পেপার রিটার্নের তথ্য ডিজিটাল ডেটাবেজে সংযুক্ত করে, পূর্ণাঙ্গ ‘রিস্ক-বেইসড’ অডিট নির্বাচন প্রক্রিয়া চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

এই পুরো ব্যবস্থা চালু হলে অডিট বাছাই হবে আরও স্বচ্ছ, কার্যকর ও লক্ষ্যভিত্তিক। ফলে রাজস্ব আদায়ে আসবে কাঙ্ক্ষিত গতি ও সঠিকতা।

কালের আলো/এমডিএইচ