ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ দেশের পোশাকশিল্পকে নাজুক করে তুলবে: বিজিএমইএ সভাপতি 

প্রকাশিতঃ 10:08 pm | June 16, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কবৃদ্ধি, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল, মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানি ব্যয় বৃদ্ধি, সেই সঙ্গে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে নাজুক করে তুলবে। সরকার ও তৈরি পোশাকশিল্পের বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নবনির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ হাসান বাবু।

সোমবার (১৬ জুন)  বিজিএমইএ-এর নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের বিদায়ী প্রশাসক ও বিজিএমই’র সাবেক সভাপতিরা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাকশিল্পে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ উৎপাদন ব্যয় কমানো। বিজিএমএতে  সদস্যদের চাঁদার ২৫ শতাংশ কমানোর মধ্য দিয়ে ঘর থেকে উৎপাদন ব্যয় হ্রাসের কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি তৈরি পোশাকশিল্পের পথিকৃত উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনা সম্মান জানাতে কার্যক্রম গ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা বলেন, নতুন কমিটি মানে পরিবর্তন। এ পরিবর্তন মানে হলো উদ্যোক্তা সদস্যদের অনেক আশার প্রতিফলন। এটা পূরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ৮০ দশকের রাজনৈতিক নেতারা তৈরি পোশাকশিল্পকে দর্জির কারখানা বলতেন, বিশ্বব্যাংক বলতো কটেজ। আমরা তাদের বলেছি তারা যেন এটা না বলেন।  তৈরি পোশাকশিল্পকে আমরা আমদানি-রপ্তানি, আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ের ‘ শিল্প’তে পরিণত করেছি।

সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, সদ্য প্রয়াত আব্দুল্লাহ হিল রাকিব অল্প সময়ে অনেক ভালো কিছু করে গেছেন। তিনি তৈরি পোশাকের ওয়ান্ডার বয় হয়ে থাকবেন।

তিনি বলেন, সম্মিলিত পরিষদ বা ফোরাম দলে বিভক্ত হয়ে কিছু করা যাবে না। সবাই এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই পোশাকশিল্পকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

সাবেক সভাপতি এসএম ফজলুল হক বলেন, তৈরি পোশাকশিল্লকে যারা এখানে এনেছেন তারা অনেকেই নেই। এ শিল্পকে যারা এখানে এনেছেন তাদের অনেকের কারখানা নেই। কিন্তু তাদের অবদান আছে। তাদের সন্তানরা আছেন, তাদের যেন আমরা ভুলে না যাই।

এবারের কমিটিতে একজন নারী সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এর মাধ্যমে তৈরি পোশাকশিল্পে নারীর অংশগ্রহণের প্রতীক হিসেবে দেখা হবে উল্লেখ করেন আরেক সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, এ খাতের জন্য অতীতে যা করেছি, আগামীতে অব্যাহত থাকবে। এবং আমরা সহযোগিতা করবো।

বিজিএমইএর একমাত্র সাবেক নারী সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, বিজিএমএর সবচেয়ে ভালো সভাপতি হবেন মাহমুদ হাসান বাবু। আর আগামীর কঠিন সময় সফলভাবে অতিক্রম করবেন ভালো সভাপতির ভালো গুণ দিয়ে।

বিজিএমই-এর সত্য সাবেক সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, এ শিল্প আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করা হবে। বিজিএমইএতে বিভিন্ন মত নির্বিশেষে এ কমিটিকে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে তৈরি পোশাকশিল্পকে এগিয়ে নেবো।

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন  বিজিএমই’র প্রশাসক আনোয়ার হোসেন।

শুরুতে অকাল প্রয়াত বিজিএমইএর সাবেক সিনিয়র সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিবের স্মরণে দোয়া ও  মোনাজাত করা হয়। এরপর বিজিএমইএ-এর নবনির্বাচিত সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও পরিচালকদের দায়িত্ব গ্রহণ ও হস্তান্তর করেন। এরপর সভাপতিত্ব করেন নবনির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ হাসান বাবু।

কালের আলো/এমডিএইচ