মাছের চাহিদা বেশি দামও বাড়তি, সবজিতে স্বস্তি
প্রকাশিতঃ 2:00 pm | June 13, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এর দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পড়েছে। তবে সবজির দামে স্বস্তি ফিরে এসেছে, যা ভোক্তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তিদায়ক খবর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোরবানির ঈদের পর সবার বাসাবাড়িতেই মাংস রয়েছে। তাই মাংসের চাহিদা কম। তবে ঈদ পরবর্তী মেহমানদারি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় মাছের চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। এদিকে ঈদে পরিবহন সংকটে সরবরাহ কম। ফলে বেড়েছে মাছের দাম।
এদিকে সবজির বর্তমানে তুলনামূলক চাহিদা কম ফলে দামও কম।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী আড়ৎ, শনিরআখড়াসহ কয়কটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে ইলিশ, রুই, কাতলা ও চিংড়ি মাছের। এক কেজি মাঝারি আকারের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৮০ থেকে ৩৩০ টাকা।
এদিকে, শাকসবজির দামে বেশ স্বস্তি দেখা গেছে। বৃষ্টির পর ফসল ভালো হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। বাজারে নতুন নতুন সবজি এসেছে।
ফলে ঢেঁড়স, পুঁই শাক, লাউ, কাঁচা মরিচসহ বেশ কিছু সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এক কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। টমেটো ও করল্লার দামও কিছুটা কমেছে। ক্রেতারা বলছেন, মাছের দামের ঊর্ধ্বগতি কিছুটা চাপ তৈরি করলেও সবজির দাম কম থাকায় বাজারের ভারসাম্য কিছুটা রক্ষা পাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং সরবরাহ চেইনে কোনো সমস্যা না হয়, তবে সবজির বাজার আরও স্থিতিশীল থাকতে পারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের সময়ে সবজির চাহিদা একেবারে কমে গেছে। শুধু সালাদ তৈরি সামগ্রী শসা, কাঁচামরিচ, লেবু বেশি বিক্রি হয়েছে। তবে এখন আস্তে আস্তে সবজির বাজারে মানুষের আনাগোনা কিছুটা বেড়েছে। ঈদের আগের তুলনায় সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি মিললেও মাছের দাম অনেকটাই বাড়তি।
সুমন মল্লিক জানান, লোকজন টানা কোরবানির পর মাংস খাওয়ায় এর প্রতি অনীহা থাকায় মাছের চাহিদা বেড়েছে, অন্যদিকে ঈদের কারণে জেলে পর্যায় থেকেও মাছের জোগান কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে।
এছাড়া ঈদে বিবাহের অনুষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় সেখনেও মাছের দরকার পড়ে। এটিও মাছের দাম বৃদ্ধির একটি কারণ।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢেঁড়স খুচরা ২৫ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০, ধুন্দল ৩৫ থেকে ৪০, চিচিঙ্গা ৪০, পটল ৪০ টাকা ও বেগুন ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁকরোল ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতিপিস ২৫ থেকে ৩৫৷ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, দু-একটি পণ্য ছাড়া ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকার মধ্যে সব ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে।
মামুন নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে এখন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের আনাগোনা বেশি। তবে পাইকাররা গতকাল থেকে কম সরবারাহের অজুহাতে দাম কিছুটা বাড়িয়েছেন। কিন্ত ক্রেতা কম থাকায় বাজারের সবকিছুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে মনে হচ্ছ।
কালের আলো/এএএন