প্রধান উপদেষ্টার মহানুভবতায় মিয়ানমারের দু:সময়ের ‘বন্ধু’ বাংলাদেশ, সাফল্যের আখরে আলোকোজ্জ্বল সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যরা
প্রকাশিতঃ 10:31 pm | April 17, 2025

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, অ্যাকটিং এডিটর:
সততা, ত্যাগ ও অসীম দেশপ্রেমের জন্য সব সময়ই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বরাবরই বলেছেন, প্রতিটি ক্রান্তিকালে তাঁরা দেশের মানুষের পাশে থেকেছেন। যে সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে এমন গর্ব করেন ড.ইউনূস সেই সশস্ত্র বাহিনী অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও বিদেশের মাটিতেও দুর্যোগে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের ২৮ মার্চ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান। প্রতিবেশী দেশটির অচিন্তনীয় বিপদে বাংলাদেশ যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে রীতিমতো অবাক গোটা বিশ্ব!
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সমন্বয়ে ত্রাণ, উদ্ধারকারী দল এবং চিকিৎসা সহায়তাকারী দলকে দ্রুত মিয়ানমারে পাঠিয়ে মানবিক এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। মিয়ানমারের দুর্যোগ পীড়িত জনসাধারণের জন্য সারাবিশ্ব থেকে পাঠানো ত্রাণ সহায়তার দিক থেকেও অন্যতম সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে পাঠানো ত্রাণ সহায়তার পরিমাণ ১৫১ দশমিক ৫ টন। শুধু তাই নয় ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির নেপিডো শহরে বিধ্বস্ত একটি চারতলা ভবনে অন্যসব উদ্ধারকারী দল যেখানে অভিযান চালাতে অপারগতা প্রকাশ করে সেখানেই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের অনুরোধে দায়িত্ব-কর্তব্যের দৃঢ় বন্ধনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অদম্য ও সাহসী সদস্যরা বাড়িয়ে দেয় সহানুভূতির হাত। উদ্ধার করা হয় ৬৮ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ। হাতে হাত মিলিয়ে নিজেদের প্রগাঢ় আন্তরিকতা-সহযোগিতায় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে বাংলাদেশের প্রতি গভীরভাবেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বন্ধুপ্রতীম দেশটি।
সূত্র জানায়, মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দলকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিনটি আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী উদ্ধার করার দায়িত্ব প্রদান করলে সেখানেও তাঁরা সফলতার পরিচয় দেয়। একই সঙ্গে নেপিডোর বিভিন্ন এলাকায় ৪৫টি ক্ষতিগ্রস্ত আবাসিক ভবন, ক্লিনিক, শপিং মল ইত্যাদির ঝুঁকিপূর্ণ ও নিরাপদ স্থান চিহ্নিত করতেও তাঁরা সহায়তা করে। এছাড়া নেপিডো সেন্ট্রাল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনে যৌথ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ দল একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। ওই পরিকল্পনা মোতাবেক পরবর্তীতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। আবেগ ও অনন্য মানবিকতার সঙ্গে দেশটির সাধারণ মানুষের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর চিকিৎসকদের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা কেবল নজরকাড়াই নয় মুগ্ধতার শৌর্য-বীর্য আর বীরত্বের বহি:প্রকাশও ঘটিয়েছে যেন!
- অকুতোভয় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মিয়ানমারের মানুষকে শুনিয়েছেন সাহসের বাণী ও বরাভয়
- অদম্য ও নির্লোভ প্রতিটি সদস্য বিপদে ও সঙ্কটে দেখিয়েছেন পথ
- মানবতার জয়গানে স্পর্শ দিয়েছেন সাহসের
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বীর সদস্যদের মানবতা ও মনুষ্যত্বে রাঙানো বিশাল ক্যানভাস
অকুতোভয় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মিয়ানমারের মানুষকে শুনিয়েছেন সাহসের বাণী ও বরাভয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূসের মহানুভবতায় অদম্য ও নির্লোভ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য বিপদে ও সঙ্কটে তাদের দেখিয়েছেন পথ। মানবতার জয়গানে স্পর্শ দিয়েছেন সাহসের। নিজেদের নি:শ্বাসের মতোই সবার ঊর্ধ্বে মানবিকতাকেই মুখ্য উপজীব্য করে দেশটির সাধারণ মানুষের হৃদয়গ্রোথিত আবেগ, শ্রদ্ধা আর গভীর ভালোবাসার সঙ্গে অর্জন করেছেন অভূতপূর্ব সম্মান। মিয়ানমারের সর্বোচ্চ পর্যায়েও বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দলের কার্যক্রম হয়েছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সাফল্যের আখরে উঠে এসেছে বীর সদস্যদের মানবতা ও মনুষ্যত্বে রাঙানো বিশাল ক্যানভাস।
বৃহৎ মানবিক সহায়তা মিশন সম্পন্নের পর পিএসও’র বিশেষ সংবর্ধনা
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সফলভাবে একটি বৃহৎ মানবিক সহায়তা মিশন সম্পন্ন করে ইতোমধ্যেই দেশে ফিরেছে। হৃদয়ের উষ্ণতায় বরণ করে নেওয়া হয়েছে তাদের। মিয়ানমারে উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণকারী উদ্ধারকারী ও চিকিৎসক দলের সদস্যদের সম্মানে বুধবার (১৬ এপ্রিল) আয়োজন করা হয় বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে সেদিন ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে উদ্ধারকারী ও চিকিৎসক দলের প্রত্যেক সদস্যকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। এ সময় ঢাকাস্থ মিয়ানমার এর মিলিটারি, নেভেল এবং এয়ার অ্যাটাচেসহ সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সরকারের প্রেরিত মানবিক সাহায্য, বাংলাদেশের উদ্ধারকারী ও চিকিৎসক দলের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশন্স ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলীমুল আমীন। তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে দলের প্রত্যেক সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এই মানবিক উদ্যোগে সহায়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, মিয়ানমারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ সহায়তাদানকারী সকল সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাসমূহকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানান।
মানবতার সেবায় বিদেশের মাটিতেও সুচারুভাবে দায়িত্ব পালনের উদাহরণ
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দল দৃঢ় মনোবলের মাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতা ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গে শেষ করে বীরের বেশেই দেশে ফিরে আসার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি মিয়ানমার সরকারের আস্থাকে আরও সমুন্নত করেছে। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূস’র নির্দেশে এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এর গাইডলাইনে জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়েই মানবতার সেবায় বিদেশের মাটিতেও সুচারুভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজেদের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবেই উজ্জ্বল করেছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য। পুরো বিষয়টিতে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করে মুন্সীয়ানার স্বাক্ষর রেখেছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।
মিয়ানমারের নাগরিকদের কাছে দু:সময়ে ভরসার আরেক নাম হয়ে ওঠে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের বাইরে তুরস্কের পর এবার মিয়ানমারেও স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্যোগে পাশে দাঁড়িয়ে নতুন ইতিহাসের নির্মাতা হিসেবেও উপস্থাপন করেছেন নিজেদের। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান মিয়ানমারের ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ সরকারের প্রেরিত মানবিক সাহায্য এবং বাংলাদেশ উদ্ধারকারী ও চিকিৎসক দলের মানবিক কার্যক্রম বাংলাদেশের জনগণের প্রতিবেশীর প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ এবং সংস্কৃতির পরিচায়ক বলে মনে করেন। তিনি বলেন, এই সঙ্কটকালে বাংলাদেশের সহানুভূতিশীল ও মানবিক ভূমিকা দুই দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। ভবিষ্যতেও দেশ-বিদেশে যেকোনো দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সরকারের নির্দেশে সদা প্রস্তুত ও অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় তিন ধাপে পরিচালিত অভিযানের প্রথম ধাপে গত ৩০ মার্চ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর দুটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে ১৬ দশমিক ৫ টন জরুরি ত্রাণ সহায়তা মিয়ানমারে পাঠানো হয়। দ্বিতীয় ধাপে গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ও বিমান বাহিনীর দুটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে উদ্ধার ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ৫৫ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল, একটি চিকিৎসা সহায়তাকারী দল এবং ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়। এরপর তৃতীয় ধাপে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বানৌজা সমুদ্র অভিযান জাহাজের মাধ্যমে ১২০ টন ত্রাণসামগ্রী মিয়ানমারে পৌঁছায়। সব মিলিয়ে মিয়ানমারে প্রেরিত ত্রাণ সহায়তার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫১.৫ টন, যা মিয়ানমারের দুর্যোগ পীড়িত জনসাধারনের জন্য সারাবিশ্ব হতে প্রেরিত ত্রাণ সহায়তার মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। মিয়ানমারে মানবিক মিশন শেষে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দলটি গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে নৌবাহিনীর জাহাজযোগে দেশে পৌঁছায়।
আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ চিকিৎসা সহায়তাকারী দল নেপিডোর ৫০ শয্যার যবুথিরি হাসপাতাল, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম ও মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে। সামরিক ও অসামরিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত এই দল মোতায়েনকালীন সময়ে ১৭টি জটিল অস্ত্রোপচারসহ মোট ৮৮৫ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। বাংলাদেশ উদ্ধারকারী ও চিকিৎসক দলের মানবিক কর্মকাণ্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শোয়ে ব্যক্তিগতভাবে উদ্ধারকারী দল পরিদর্শনে আসেন এবং তাঁদের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। এছাড়া উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তার বিভিন্ন পরিকল্পনা ও সমন্বয় সভায় বাংলাদেশের দলের সঙ্গে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। উদ্ধার কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশ দলের প্রত্যাবর্তনের সময় গত ১০ এপ্রিল মিয়ানমার সরকার একটি আনুষ্ঠানিক বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় স্টেট কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, মিয়ানমার ডিফেন্স সার্ভিসের ডেপুটি কমান্ডার ভাইস সিনিয়র জেনারেল সোয়ে উইন, ইউনিয়ন মিনিস্টার ফর হোম অ্যাফেয়ার্স, মিনিস্টার অফ হেলথ অ্যান্ড স্পোর্টসসহ অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এমএএএমকে