তীব্র দাবদাহে চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিতঃ 6:12 pm | April 20, 2024

কালের আলো প্রতিবেদক:

তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে ধানী জমিতে কাজ করছিলেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন (৩৩)। এ সময় প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

স্বজনরা জানান, ধানের জমিতে সেচ দেওয়ার সময় মাঠে স্ট্রোক করেন জাকির। অন্য কৃষকরা উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, ‘এক রোগী স্ট্রোকজনিত কারণে হাসপাতালে আসে। কিন্তু হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। তিনি ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন।

এদিকে পাবনা সদরে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের রুপকথা রোডে একটি দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন সুকুমার। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শনিবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

অন্যদিকে চুডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘টানা ৪ দিন ধরে এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে টানা ৯ দিন ধরে। এটা আরও কিছুদিন অব্যহত থাকতে পারে।’

দেশজুড়ে চলমান তীব তাপপ্রবাহে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। ঢাকায় রেকর্ড করা হয়েছে বছরের সর্বোচ্চ ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আগামী সাতদিন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। রবিবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা ২৭ তারিখে খুলবে বলে জানানো হয়েছে।

কালের আলো/এমএইচ/এসবি