জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা : কান্নায় বুক ভাসাচ্ছেন অবন্তিকার মা

প্রকাশিতঃ 2:58 pm | March 16, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আমার স্বামী মারা গেছেন এক বছর হলো। গতরাতে আমার মেয়ে ফাইরুজ অবন্তিকা মারা গেছেন।

আমি এ শোক নিতে পারছি না। আমার আরেক ছেলে আছে। আমার মেয়ের এই দুর্ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ছেলেসহ শেষ হয়ে যাব।

শনিবার (১৩ মার্চ) কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ের বাসায় কাঁদতে কাঁদতে নিজের দুঃখের এই কথাগুলো বলছিলেন আত্মহত্যা করা জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।

তিনি বলেন, আমার মেয়ে অত্যন্ত উদ্যমী। আমার মেয়ে মেধাবী এটাই কি তার অপরাধ? সে তার সেশনে ফার্স্ট, এটাই কি তার অপরাধ? সে জিডি (জেনারেল ডিউটি) পাইলটে টিকেছে, এটাই কি তার অপরাধ? আমি প্রক্টর, চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কোনো বিচার পাইনি। আমি বিচার না পেলে শেষ হয়ে যাব। আমার কিছুই নেই। নিজে শেষ হয়ে গেলেও কিছুই থাকবে না।

জানা গেছে, কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে ফাইরুজ অবন্তিকা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত সোয়া ১০টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে অনাচারের অভিযোগ তোলেন।

এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুর খবরে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন চলছে। দুপুর ২টায় ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। পরে বাদ আসর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

কালের আলো/এমএইচ/এসবি