চীনের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ব্যাপকভাবে বেড়েছে: যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিতঃ 3:18 pm | October 20, 2023
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রকাশিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে চীনের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে। পেন্টাগন বলছে, চীনের হাতে এখন প্রায় ৫০০টি অপারেশনাল ওয়ারহেড রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি এই অস্ত্রাগার দ্বিগুণ করে ১০০০ ওয়ারহেড মজুত করার আশা করছে।তবে চীন ‘নো-ফার্স্ট স্ট্রাইক’ অর্থাৎ আগে হামলা না করার নীতিতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে বলে পেন্টাগনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, চীনের অস্ত্রভাণ্ডার যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা আগের অনুমানকে ছাড়িয়ে গেলেও, বেইজিংয়ের সেই মজুত এখনো রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম।
স্বাধীন স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অনুসারে, রাশিয়ার কাছে প্রায় ৫ হাজার ৮৮৯টি ওয়ারহেডের পারমাণবিক অস্ত্রাগার রয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ৫ হাজার ২৪৪টি। এর আগে ২০২১ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ অনুমান করেছিল, চীনের কাছে প্রায় ৪০০টি ওয়ারহেড রয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন, চীন ২০৪৯ সালের মধ্যে একটি বিশ্বমানের সামরিক বাহিনী তৈরি করবে। ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণের চেষ্টা করে চলেছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বেইজিং সম্ভবত ২০২২ সালে তিনটি নতুন ক্লাস্টার ক্ষেপণাস্ত্র সাইট নির্মাণ শেষ করেছে। এই ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্তত ৩০০টি নতুন ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) সাইলো রয়েছে।
মূলত আইসিবিএম হলো এমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার সর্বনিম্ন প্রায় ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার (৩ হাজার ৪০০ মাইল) পাড়ি দিয়ে আঘাত হানতে পারে। মূলত পারমাণবিক অস্ত্র বহনের জন্যই এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ডিজাইন করা হয়ে থাকে। কিছু আইসিবিএম আবার ১০ হাজার কিলোমিটার (৬ হাজার ২০০ মাইল) বা তার বেশি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম।
সূত্র: বিবিসি
কালের আলো/এসএম