বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিতঃ 3:07 pm | September 11, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

অবকাঠামো ও স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা ও প্যারিসের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপস্থিতিতে নথিপত্রে সই করা হয়।

চুক্তি দুটির মধ্যে একটি হলো, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ফ্রান্সের ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এফডিএ)-এর মধ্যে “ইমপ্রুভিং আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার প্রোগ্রাম” বিষয়ে একটি ক্রেডিট সুবিধা। অন্যটি হলো, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং ফ্রান্সের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএএস- এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম সম্পর্কিত সহযোগিতার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তারা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণে আলোচনা করেন।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুই দিনের সফরে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে পৌছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ম্যাক্রোঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

বিমানবন্দর থেকে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৈশভোজে যোগ দিতে সরাসরি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান। সেখান থেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় গানের দল “জলের গান” এর সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্রী রাহুল আনন্দের ধানমন্ডির বাসার নিজস্ব স্টুডিওতে যান ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

সোমবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ম্যাক্রোঁ। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের সোমবার বিকেলে ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।

৩৩ বছর পর এটাই প্রথম কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর। সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিত্রান্দের বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিবেচনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ম্যাক্রোঁর এই সফরের মাধ্যমে ঢাকা ও প্যারিসের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কালের আলো/টিআর