অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে মানসম্মত অবকাঠামোগত কাজ গুরুত্ব পাচ্ছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 4:38 pm | July 26, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে মানসম্মত অবকাঠামোগত কাজ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২৮০০ ডলারের বেশিতে উন্নীত করতে পেরেছেন শেখ হাসিনা, আজকের বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের দেশ। দেশের এই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলেই আজকে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকসই ও মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণ বিষয়টি প্রাসঙ্গিকভাবে আলোচনা করছি।
বুধবার (২৬ জুলাই) মিরপুরে মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)তে “এডভান্সেস ইন সিভিল ইনফ্রাসট্রাকচার এন্ড কন্সট্রাকশন মেটারিয়ালস” শীর্ষক তিনদিন ব্যাপী ২য় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর আরো ১০ টি দেশের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
পানি সম্পদ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাতের সভাপতিত্বে কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমআইএসটির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মু. অহিদুল ইসলাম। কনফারেন্সের উদ্বোধনী সেশনে ইউনিভার্সিটি অব ক্যানটারবারির প্রফেসর ড. এ্যাগরি ম্যাকরে এবং মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মোঃ মাসুদ (অবঃ) মূল উপস্থাপনা প্রদান করেন।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠনে নেমে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে ৯৪ ডলার মাথাপিছু আয় থেকে ২৭৭ ডলারে মাথাপিছু জিডিপি উন্নত করেছিলেন আর সামরিক শাসকেরা ২১ বছরে মাত্র ৫২ ডলার জিডিপি প্রবৃদ্ধি করেছিল দেশের। এ চিত্র থেকে বুঝা যায় বাংলাদেশে কতটা পিছিয়ে পড়েছিল সামরিক নেতৃত্বের হাতে। ভৌগলিক ছোট আয়তনের ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেমে যাওয়ার ফলে দেশের সমস্যা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
‘এরকম একটি কঠিন সময় ১৯৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতা নেন তখন বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৩২৯ ডলার।’
তিনি বলেন, খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশকে মাত্র পাঁচ বছরে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলেন। তিনি আরো বলেন, সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে একসাথে নিয়ে দেশের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যার ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
মন্ত্রী সম্মেলনে বলেন, একটি দেশের উন্নয়নে অবকাঠামগত স্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা এক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রাখেন। তিনি আরো বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা তাদের অর্জিত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেরা যেরকম সমৃদ্ধ হবেন তেমনি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়াররাও সমৃদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস।

কালের আলো/বিএস/এমএইচ