উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
প্রকাশিতঃ 3:03 pm | February 24, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসাথে কাজ করতেও আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (MoU) স্বাক্ষরের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ ‘প্ল্যানিং উইক ২০২৩ : স্পেশাল প্ল্যানিং ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মত প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্যই সরকার পরিকল্পনা নেয় এবং সমন্বিত উদ্যোগের ফলেই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হ্য়।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় পরিকল্পনাবিদদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এমনকি আগামী একশত বছরের জন্য তিনি বাংলাদেশের পথ পরিক্রমা ডেল্টা প্ল্যানের মাধ্যমে ঠিক করেছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭০০ ডলার। আর বর্তমানে তা ২,৮২৪ ডলার। মাত্র ১৪ বছরের ২ হাজার ১২৪ ডলারের ব্যবধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত পরিকল্পনার ফলেই সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দর্শন বাস্তবায়নে পরিকল্পনাবিদদের সম্পৃক্ত করা গেলে শহরের নাগরিক সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছানো সহজ হবে। এতে মানুষের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমবে।
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাসযোগ্য ঢাকা শহরের জন্যই বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) করা হয়েছে। পরিকল্পিত ঢাকার জন্য পরিকল্পনাবিদসহ সবাইকে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন। এতে সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. আব্দুল জব্বার খান।
কালের আলো/এমএইচ/এমকে