নিজেদের মাঠে সিলেটের সংগ্রহ ৯২ রান

প্রকাশিতঃ 4:11 pm | January 27, 2023

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:

চলতি বিপিএলের মঞ্চে ব্যাটিংয়ের দারুণ শক্তি দেখিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলটির ব্যাটসমানরা বড় স্কোর তাড়া করে জয় পাওয়া থেকে শুরু করে দুইশোর অধিক রানও তুলেছে স্কোরবোর্ডে। সেই সিলেট কিনা, বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জায় পড়তে যাচ্ছিল।

তাও কিনা ঘরের মাঠে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পর্ব পেরিয়ে বিপিএল এখন সিলেটে। এখানে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল স্বাগতিক সিলেট এবং রংপুর রাইডার্স। ম্যাচটিতে টসে জিতে নতুন উইকেটে আগে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

উইকেটের ঘাস এবং সতেজতাকে কাজে লাগিয়ে রংপুরের বোলাররা কাঁপিয়ে দিয়েছিল সিলেটের ব্যাটসম্যানদের। পাওয়ারপ্লের মধ্যে ৫ উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ১৮ রানের মধ্যে সিলেটের ৭ ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নের পাঠিয়েছিল রংপুরের বোলাররা। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল বিপিএলের ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর ৪৪ রান টপকাতে পারবে না সিলেট।

সেখান থেকে সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এবং তানজিম হাসান সাকিবের ব্যাটে ভর করে সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জা এড়ায় দলটি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার থেকে ৯ উইকেটে ৯২ রান তুলতে পারে সিলেট। জয়ের জন্য এই রান যথেষ্ট না হলেও বড় লজ্জা থেকে বেঁচেছে স্বাগতিক দলটি।

এদিন ব্যাট হাতে শুরু থেকে বিপদে ছিল সিলেট। শেখ মেহেদীর করা প্রথম ওভার উইকেটহীন কাটানোর পর বিপর্যয়ে পড়ে সিলেটের ব্যাটিং লাইনআপ। পরের তিন ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় দলটি।

দ্বিতীয় ওভারে টম মুরসকে ফিরিয়ে শুরু করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ২ রান করে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে পরিণত হয়ে ফেরেন মুরস। পরের ওভারে আউট হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্তও। শেখ মেহেদীকে দারুন এক ছয় হাঁকানোর পরের বলে আবার উড়িয়ে মারেন শান্ত। তবে মিড অফে শোয়েব মালিকের ক্যাচ হয়ে ৯ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।

পরের ওভারে আজমতউল্লাহ তুলে নেন আরও দুই উইকেট। দারুণ ফর্মে থাকা তৌহিদ হৃদয় এবং মুশফিকুর রহিম দুইজনকে শূন্য রানে শিকার করেন এই পেসার। দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়ে হৃদয়কে এলবি এবং মুশফিককে বোল্ডের ফাঁদে ফেলেন আজমতউল্লাহ।

পরের ওভারে জাকির হাসানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন শেখ মেহেদী। রংপুরের অধিনায়ক সোহানের দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জাকির। এরপর মাঠে নেমে থিসারা পেরেরা এবং ইমাদ ওয়াশিম দেখেশুনে খেলতে থাকেন।

তবে হারিস রউফ এবং হাসান মাহমুদ বোলিংয়ে আসতেই আবারও উইকেট হারায় সিলেট। থিসারাকে ৩ এবং ইমাদ ওয়াসিম ১ রান করে ফেরেন। এক পর্যায়ে ১৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে সিলেট।

সেখান থেকে দলটির হাল ধরেন অধিনায়ক মাশরাফী এবং উদীয়মান তারকা বোলার সাকিব। দুইজনে এদিন ব্যাট হাতে লড়েছেন সিলেটের হয়ে। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪৮ রান যোগ করে সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জা এড়ায় দলটি। মাশরাফী ২ ছয়ে ২১ বলে ২১ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটিটি।

মাশরাফী ফিরলেও একপ্রান্তে একাই লড়াই চালিয়ে যান সাকিব। শেষ পর্যন্ত উনিশতম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৫টি চার ও ২টি ছয়ে করেন ৪১ রান। ম্যাচে সিলেটের পক্ষে সাকিব এবং মাশরাফী ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ডিজিট স্পর্শ করতে পারেনি। এমনকি অতিরিক্ত খাতও না।

রংপুরের পক্ষে এদিন আজমতউল্লাহ এবং হাসান মাহমুদ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। এরমধ্যে হাসান ৪ ওভার থেকে দেন মাত্র ১২ রান। আজমতউল্লাহ হজম করেন ১৭ রান। এছাড়া শেখ মেহেদী ১২ রানে ২টি এবং হারিস রউফ ১৯ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট শিকার করেন।

কালের আলো/এমএইচ/এসবি