‘যুক্তরাষ্ট্রে এমডির ১৪ বাড়ি’ সংবাদটি বানোয়াট ও দুদককে নির্দেশনা ভুয়া : ওয়াসা
প্রকাশিতঃ 10:04 am | January 16, 2023

কালের আলো ডেস্ক:
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ির বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদটি বানোয়াট উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে এই সংবাদ প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্ট দুদককে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে ছড়ানো তথ্যও মিথ্যা বলে দাবি করেছে ঢাকা ওয়াসা।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পক্ষে ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, কল্পনাপ্রসূত, ভিত্তিহীন ধ্যান-ধারণার ওপর তৈরি। বাস্তবতার সঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোনো সামঞ্জস্য নেই। প্রতিবেদনে উল্লেখিত ঠিকানায় এরকম কোনো বাড়ির মালিকানা ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান নন। তার স্ত্রী ২৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তার নামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে মাত্র। একটি স্বার্থান্বেষী মহল হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এজাতীয় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন করিয়েছে। ঢাকা ওয়াসার এজাতীয় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, যেখানে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের নামে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বাড়িই নেই, সেখানে ‘বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে’- এরকম সংবাদ শুধু মিথ্যাচারই নয়, একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, কর্মঠ, সফল ব্যবস্থাপনার রূপকারের মানসম্মানের ওপর আঘাতের শামিল।
ওয়াসার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি (ঢাকা ওয়াসার প্যানেল আইনজীবি) ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন আলোচ্য পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশন এর বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত এর আদালতের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চান যে, দুদকে আদালত থেকে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কিনা। জবাবে বিচারপতি মহোদয়গণের আদালত থেকে জানানো হয় যে, দুদককে আলোচ্য প্রতিবেদন নিয়ে এমন কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এতে পরিষ্কার যে, কুচক্রী মহল এ ধরনের মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
‘এক সময়ে যে ঢাকা শহরে পানির জন্য হাহাকার ছিল, সেই মহানগরীতেই ২০১০ সালে ‘ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা’ কর্মসূচীর অলোকে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহ ও পয়ঃ সেবা ঢেলে সাজানোর তথা আধুনিকায়নের জন্য দুইটি মাষ্টার প্ল্যান তৈরি করে। মাষ্টার প্ল্যান দুটি তৈরির রুপকার এই ভিশনারি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান । ওয়াটার মাষ্টার প্ল্যান এর আওতায় এরই মধ্যে রাজধানিবাসিকে দৈনিক পানি চাহিদার শতভাগ ঢাকা ওয়াসা সরবরাহ করছে। প্রসংগতঃ বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদন সক্ষমতা চাহিদার চেয়ে বেশী। দৈনিক চাহিদা যেখানে প্রায় ২৪৫ থেকে ২৫০ কোটি লিটার, সেখানে দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ২৭০ থেকে ২৭৫ কোটি লিটার।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ঢাকা ওয়াসা আজ পানি সরবরাহে পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমূখী পানি ব্যবস্থাপনায় শতভাগ সফলতা দেখিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে ঢাকা ওয়াসা ‘রোল মডেল’ বলে উন্নয়ন সহযোগি সংস্থাগুলি উল্লেখ করছে।
এতে বলা হয়, এই যখন প্রকৃত অবস্থা, সেখানে, প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এর নামে কল্পিত গোয়েন্দা বাহিনীর নাম ব্যবহার করে এরুপ প্রতিবেদন প্রকাশ করা নীতি নৈতিকতার সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা বিবেচনার দাবী রাখে।
পরিশেষে, ঢাকা ওয়াসা পুরো প্রতিবেদনটি একটি হীন অপপ্রচার বলে গন্য করছে।
কালের আলো/এসবি/এমএম