আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগে প্রস্তুতের নির্দেশ সেনাপ্রধানের

প্রকাশিতঃ 4:23 pm | December 29, 2022

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সময়োপযোগী আধুনিকায়ন নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি স্বীকৃতি দিয়েছেন ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন পিপলস আর্মি’। সরকারপ্রধান সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদির সমন্বয় ঘটিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিশ্বমানের সেনাবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে দিন-রাত একাকার করে কাজ করে চলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে সেনা কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্যদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন একদিন-প্রতিদিন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের দায়িত্বপূর্ণ শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকা সিলেটের সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়ন এবং জৈন্তাপুর উপজেলা পরিদর্শন করে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুখে-দুঃখে সব সময় দেশের মানুষের পাশে থেকে যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত রয়েছে।’ এদিন সেনাপ্রধান যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন রণকৌশলগত প্রশিক্ষণ কাজ পর্যবেক্ষণ করেন।

জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের কালিজুরী এলাকায় ১ হাজার ১০০টি অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগে সেনাবাহিনী সামর্থ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘প্রশিক্ষণকালীন সময়ে সেনাবাহিনী তার জনকল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে অসহায়, দুঃস্থ ও শীতার্ত মানুষের পাশে নিয়মিত দাঁড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ সিলেট অঞ্চলের অসহায়, দুঃস্থ ও গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

প্রশিক্ষণ এলাকায় অসহায়, দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণের এই মানবিক কার্যক্রম সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে বলেও মনে করেন সেনাপ্রধান।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, পরে সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিদর্শন করেন। এই মেডিকেল ক্যাম্পেইনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ, গর্ভবতী-প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা সেবা ও বিশেষ পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞরা চোখের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা বিনামূল্যে ওষুধও পাচ্ছেন।

সেনাবাহিনীর এমন জনসেবামূলক কার্যক্রম জনসাধারণকে চিকিৎসা সেবাপ্রাপ্তি সহজ করার পাশাপাশি শীতের প্রকোপ এবং অসুস্থতা থেকে আরোগ্য পেতেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে। সেনাপ্রধানের পরিদর্শনকালে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও সিলেটের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারীসহ উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমএএএমকে