আইওআরএ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ১৬ দেশের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 5:55 pm | November 21, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আঞ্চলিক খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২২তম সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ১৬ দেশের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।

আইওআরএ’র মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন সোমবার (২১ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।

এতে জানানো হয়, আইওআরএ’র ২৩ সদস্য দেশ ও পর্যবেক্ষক ১০ দেশ থেকে ১৩৪ জন প্রতিনিধি ঢাকায় আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দেবেন। আর ১৬টি দেশের মন্ত্রী- প্রতিমন্ত্রীরা এ সম্মেলনে আসছেন। এ ১৬ দেশের মধ্যে রয়েছে- ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মাদাগাস্কার, সাউথ আফ্রিকা, সোমালিয়া, ইয়েমেন, মালদ্বীপ, জাপান, মরিশাস ও তাঞ্জানিয়া প্রভৃতি দেশ।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় সমুদ্র নিরাপত্তা, সমুদ্র বাণিজ্য, দুর্যোগ প্রতিরোধ, মৎস্য ব্যবস্থাপনা, ট্যুরিজম, ব্লু ইকোনমি ইত্যাদি ইস্যু আইওআরএ সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, আইওআরএ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি আসতেও চেয়েছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে জানিয়েছেন, আসতে পারছেন না। তিনি আসতে না পারলেও টেলিফোনে আলাপ করবেন বলে জানিয়েছেন। পারস্পারিক সুবিধা মতো সময়ে আমাদের টেলিফোনে আলাপ হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেন্টার ফর গর্ভনেন্স স্টাডি-সিজিএস আজকে আয়োজিত তাদের একটি প্রোগ্রামে আমাকে অতিথি করেছে। সেটা আমি জানি না। তারা আমাকে জানিয়েছিল, তারা একটি প্রোগ্রাম করবে। আমি বলেছিলাম, আগে দাওয়াত দেন। দেখি। উনারা দিয়েছিলেন। তবে আমরা (সম্মতি) দেইনি। রোববার বিকেলে শুনলাম, আমি তাদের অতিথি।

এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রতি দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি তাদের মনে করিয়ে দেন, ‘বাংলাদেশ কোনও পরাধীন দেশ বা কলোনি নয়।’

মন্ত্রী বলেন, বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতরা শিষ্টাচার সম্পর্কে অবগত এবং এ কারণে এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এখন আমরা পরাধীন দেশ বা কলোনি নই এবং এটি তাদের মনে রাখা উচিত। তারা রীতি অনুযায়ী ব্যবহার করবে এটাই কাম্য।’

একই সঙ্গে তাদের কাছে দেশের বিষয়ে জানতে চাওয়ার সংস্কৃতিও পরিবর্তন প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশের বিভিন্ন লোকজন দেশের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে বিদেশিদের মতামত চান। যদিও উনারা (কূটনীতিক) আমাদের অতিথি, দেশ সম্পর্কে, ইতিহাস প্রসঙ্গে বাংলাদেশিদের চেয়ে তাঁদের কম জ্ঞান আছে। এই সংস্কৃতির (মতামত চাওয়া) পরিবর্তন হওয়া দরকার। তবুও উনারা (দেশের লোকজন) তাঁদের (কূটনীতিক) কাছে যান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। এই সংস্কৃতির পরিবর্তন হওয়া উচিত। আজ হোক, কাল হোক, আমাদের অবশ্যই এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।’

গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) তাঁদের (কূটনীতিক) জোর করেন। তখন তাঁরা (কূটনীতিক) বলতে বাধ্য হন। আমাকে একজন কূটনীতিক বলেছেন, তাঁকে তাঁরা (সাংবাদিক) ওই সব প্রশ্ন করেছেন। আর তিনি তা বলেছেন, যা তিনি জানেন না।’

কালের আলো/এসবি/এমএম