সারা দেশের সব বিদ্যালয়ে পাঠাগার করা হবে : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 5:48 pm | October 29, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিগগিরই ৩৩ হাজার বিদ্যালয়ে পাঠাগার তৈরি করা হবে। আর পর্যায়ক্রমে সারা দেশের সব বিদ্যালয়ে পাঠাগার করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে কাজী বশির মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির ৪১তম সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠাগার তৈরির একটি প্রকল্প আমাদের ৩০০টি বিদ্যালয়ে ছিল। সেটি আমরা ৩৩ হাজার বিদ্যালয়ে নিয়ে যেতে চাই। এর জন্য অনেক বড় বিনিয়োগ লাগছে, কিন্তু আমরা সেটি করবো। ইতিমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল।

তিনি বলেন, সেগুলো যাচাই-বাছাই করতে সময় লেগেছিল। আশা করি শিগগিরই কাজ শুরু হবে। দুশ্চিন্তার কোনও কারণ থাকবে না। তারপরও এ বছর যা বাস্তবায়িত হবে, আগামী বছর তা আরও পরিশীলিতভাবে করতে পারবো বলে আশা করি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা দেশে পাঠাগার চালু করার জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছি। আমাদের অনেক বেশি মনিটর করতে হবে। এ জন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল কানেক্টে আনার চেষ্টা করছি, যাতে আমরা এক জায়গায় বসে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়মিত দেখতে পাই। ডিজিটাল হয়ে গেলে আমরা পাঠাগারের কার্যক্রমও দেখতে পাবো।

তিনি আরও বলেন, পাঠাগারের একটা ঘর আছে, একটি আলমারি আছে, এগুলোতে তালা মারা থাকে, ভেতরে ধুলাবালু পড়ে থাকে, তেমন যেনো না হয়। পাঠাগারের কাজ ঠিকমতো হওয়া প্রয়োজন। লাইব্রেরিয়ান পদটিকে শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সেটি যেহেতু করা হয়েছে, তাহলে পাঠাগারের উন্নয়ন অবশ্যই হবে।

প্রকাশকদের পক্ষে পুরস্কার হিসেবে বই দেওয়ার প্রস্তাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পুরস্কারের নির্দেশনা আগেই দেওয়া হয়েছে। আমি ইতোমধ্যে যে কয়েক জায়গায় গিয়েছি, প্লেট-বাসন, এটা-ওটা দিয়েছে। এর বদলে এখন বই দেওয়ার কাজটি শুরু হয়েছে। এটি হয়তো আরও ব্যাপকভাবে হতে হবে। আমরা যত বেশি প্রচার করতে পারবো।

তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুধু অনুরোধ নয়, নির্দেশনা দিচ্ছি। আরও বেশি মনিটর করবো। আপনারা (প্রকাশকরা) আরও বেশি মনে করিয়ে দিতে থাকবেন। তাহলে আরও বেশি মনিটার করার সুযোগ তৈরি হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বইয়ের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তারা শিক্ষা পরিবারের সদস্য। প্রধানমন্ত্রী নিজেও একজন সুলেখক, সম্পাদক ও পাঠক। তার সময়ে প্রকাশনা শিল্প খারাপ অবস্থায় থাকবে সেটি হতে পারে না। বিশ্ব একটি কষ্টকর সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। তারপরও মুদ্রণ শিল্পের যা যা সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। কাগজের সংকট নিয়ে মিল মালিকদের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। তারা আমাকে কথা দিয়েছেন কাগজ সংকট হবে না। বই আমাদের লাগবে পহেলা জানুয়ারিতে, এতে কোনো ছাড় নেই। মিল মালিকরা যদি তাদের ওয়াদা ভঙ্গ করেন তবে তাদের বিরুদ্ধে আমরাও ব্যবস্থা নেবো। বিদেশ থেকে আমদানির বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করার প্রতিশ্রুতিও দেন শিক্ষামন্ত্রী।

কালের আলো/এমএন/বিএসবি

Print Friendly, PDF & Email