বর্তমান সরকারের সন্ত্রাসদমন কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত: আইজিপি

প্রকাশিতঃ 3:41 pm | October 29, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

কমিউনিটি পুলিশিং-বিট পুলিশিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ এখন জনগণের কাছাকাছি চলে গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেছেন, তখন আপনারা দেখেছেন পাহাড়ি এলাকায় কী অবস্থা ছিল। সেখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতো। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি তাদের আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগও দিয়েছি। এরপর থেকেই পাহাড়ি এলাকায় শান্তির সুবাতাস বইছে।

‘এই সরকারের সময় যেভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে দমন করা হয়েছে বা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে তা বিশ্বব্যাপী আজ প্রশংসিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের সমন্বয়ে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সফলভাবে দমন করেছি।’

শনিবার (২৯ অক্টোবর) ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২’ উপলক্ষে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, এতে করে সাধারণ মানুষ থানা থেকে কেমন সেবা পাচ্ছেন, ওই এলাকায় কী ধরনের অপরাধ বেশি ঘটছে, কেন ঘটছে তা আমরা জানতে পারি। সাধারণ মানুষের পরামর্শ নিয়ে পুলিশ সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আপনারা স্বাধীন দেশের পুলিশ, আপনারা জনগণের পুলিশ, আপনাদের দায়িত্ব জনগণকে সেবা করা।’ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ এখন জনগণের কাছাকাছি চলে গেছে। এতে করে সমাজে অপরাধ দমন সহজ হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সকল জেলা, রেলওয়ে, হাইওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও মেট্রোপলিটন ইউনিটে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের চলমান কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৫৪ হাজার ৭১৮টি কমিটিতে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০১ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য কাজ করছেন।

পুলিশপ্রধান বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূল কাজ সম্পর্ক স্থাপন, পার্টনারশিপ। পুলিশ সমাজের মানুষকে সাথে নিয়ে সততার সাথে, স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করলে সমাজে অপরাধ কমবে, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বার্তা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। কারণ তারাই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দিবে।

আইজিপি আরও বলেন, অপরাধ দমনে সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ এবং জনতা মিলেই সমাজে অপরাধ দমন করতে হবে, তাহলে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।

তিনি জানান, পুলিশ সারাদেশে ৬ হাজার ৫৩৩ বিটে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া গত ২০২১-২০২২ পর্যন্ত সময়ে সারাদেশে মোট ৪ হাজার ৩৫৬টি ওপেন হাউজ ডে-তে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৮টি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে অপরাধ প্রতিরোধমূলক বিট পুলিশিংয়ের ৩৩ হাজার ৮২টি সভা করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইভটিজিং, যৌতুক, মাদক ইত্যাদি সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে সমাজের সবাই মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সমাজের সবাইকে একসাথে বসে সামাজিক সমস্যা সমাধান করতে হবে।

অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, সমাজে অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদেরকে কাজে লাগাতে হবে। পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা কাজ করলে সমাজে অপরাধ কমে আসবে।

অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং ম্যানেজার
ও সদস্যদের পুরস্কৃত করা হয়।

কালের আলো/এসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email