প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দেওয়া সেই ব্যবসায়ীর মৃত্যু
প্রকাশিতঃ 11:33 am | July 05, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিজের গায়ে আগুন দেয়া কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গাজী আনিস মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) ভোর সোয়া ছয়টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তার মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন।
গাজী আনিস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঠিকাদারির ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সভাপতি। ১৯৯৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ছিলেন তিনি। গাজী আনিস কুষ্টিয়া শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার পরিবার যশোরে থাকেন।
এর আগে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, দগ্ধ কাজী আনিসের অবস্থা ভেরি ক্রিটিক্যাল। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে এক ব্যক্তি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, তা আমরা এখনো জানতে পারিনি।
হাসপাতলে মো. আলী নামের কাজী আনিসের এক বন্ধু বলেন, হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন তিনি। কিন্তু কোম্পানি পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এ নিয়ে এর আগে মানববন্ধন করেছেন তিনি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই তিনি গায়ে আগুন দিয়েছেন।
আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, তাদের বাবার নাম মৃত ইব্রাহীম হোসেন বিশ্বাস। ৯১-৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ৩ মেয়ের জনক তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি চাকরিও করতেন। ওই কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পান। এজন্য কয়েক দফায় সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় তিনি আজ এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
হেনোলাক্স কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কালের আলো/এসবি/এমএম