দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিএনপির বিচার হওয়া উচিত: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 6:07 pm | March 22, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা সমসাময়িক বিশ্বে কোথাও ঘটেনি। কোনো কোনো দেশে জাতিগত সংঘাত হয়েছে, সেখানে হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, ঘুমন্ত ট্রাক ড্রাইভারকে হত্যা করা এবং স্কুলগামী শিশুর ওপর বোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করা পৃথিবীর কোথাও গত ১০-২০ বছরে ঘটেনি। এটি বিএনপি ঘটিয়েছে। তাদের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হওয়া উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং আয়োজিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন এবং অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ শীর্ষক সেমিনারে শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অনেক অংশগ্রহণ করেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, এই নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো কোনো আস্থা নেই। এর একমাত্র সমাধান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, বিএনপির কাছে একমাত্র সমাধান হচ্ছে এমন একটি কমিশন-এমন একটি ব্যবস্থা দরকার যেটি আগে থেকেই নিশ্চয়তা দেবে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো হবে। সে ধরনের নিশ্চয়তা পেলে তারা সমাধান খুঁজে পাবে। নির্বাচন কমিশন যে সুশীল সমাজসহ সবার সঙ্গে বসছে, এটি অত্যন্ত ইতিবাচক। সেখানে কেউ যেতে পারে-না যেতে পারে, সেটা তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার ব্যাপার। তাদের উদ্যোগটাকে আমি সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই চাই, দেশে একটি অর্থবহ সুন্দর নির্বাচন হোক সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে। বিএনপিও সেখানে অংশগ্রহণ করুক, সব দল অংশগ্রহণ করুক। তবে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেটা তাদের নিজস্ব দলের বিষয়। বিএনপিকে আসলে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। এ জন্য নির্বাচন নিয়ে সব সময় তারা নেতিবাচক কথা বলে আসছে।
এর আগে সেমিনারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। মানুষ যেভাবে বাড়ছে হয়তো সংখ্যায় সেভাবে কমছে না। কিন্তু পারসেন্টেন্স ওয়াইজ ধূমপায়ীর সংখ্যা অনেক কমেছে।
‘ধূমপায়ীর সংখ্যা কমার বড় কারণ হচ্ছে- প্রথমত, আমাদের আইন করা হয়েছে জনসম্মুখে ধূমপান করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, ব্যাপক প্রচারণা হচ্ছে। এসব কারণে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে। আমি খুবই আনন্দিত যে, একটা পার্লামেন্টারি ফোরাম হয়েছে যারা এগুলো নিয়ে কাজ করছেন। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। এটা আর বেশি দূরে নয়।’
তিনি বলেন, যদি ক্যাম্পেইন ঠিকমতো না হয়, যদি আইনের প্রয়োগটা ঠিকমতো না হয় তাহলে আমরা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হব। তথ্য মন্ত্রণালয় তামাক বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি গণমাধ্যমকেও এগিয়ে আসতে হবে। সমন্বিতভাবে এ নিয়ে ক্যাম্পেইন চালাতে পারলে আমরা লক্ষ্য অর্জনে সফল হব। তামাক নিয়ন্ত্রণে জোর প্রচারণা দরকার।
সেমিনার আরও আলোচনা করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের পরিচালক ও সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম ও সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার, যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষণা সেলের প্রতিনিধি শেজাল শারফ প্রমুখ।
কালের আলো/এবি/এমএম