দেশে ভয়ংকর মাদক ‘ডিওবি’ জব্দ
প্রকাশিতঃ 11:56 am | November 24, 2021
নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
দেশে প্রথমবারের মতো ‘ক’ শ্রেণির মাদক ডিওবি উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল, ব্যবসায়ীর কাছে লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড বা এলএসডি আছে। এই এলএসডি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারে খুলনায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্যের কর্মকর্তারা। একজনের কাছে কিছু এলএসডি উদ্ধারের পর অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে মেলে ডিওবির তথ্য। উদ্ধার করা হয় ৯০ ব্লটার ডিওবি।
মাদকসেবীদের কাছে প্রতি ব্লট (পিস) ডিওবি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এই মাদক সেবনে ‘তৃতীয় নয়ন’ খুলে যায় বলে দাবি সেবীদের। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিওবি সেবনের পর সেবনকারীকে যে কোনোভাবে প্রভাবিত করা যায়। ফলে সেবনকারী নির্দেশিত কাজ করতে উদ্দমী হয়ে ওঠেন। এর জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবন করতে হয়। বেশি পরিমাণে সেবন করতে মৃত্যু ঘটতে পারে।
এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তারা হলেন- আসিফ আহমেদ শুভ ও তার বন্ধু অর্ণব কুমার শর্মা। এছাড়া সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের খুলনা বয়রা বাজার শাখার ম্যানেজার মামুনুর রশীদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুলনায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, অর্ণব এর বাসায় যায়, যেয়ে আমরা এলএসডি নয়, সেখানে আমরা নতুন মাদক পায় আমরা আটক করে বলেছি যেটা ডিওবি। এটা একটা নতুন মাদক এলএসডির মতোই ৯০টি আমরা ব্লটার পেয়েছি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিওবি সেবন করলে মানুষ নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে করে তার মস্তিষ্ক অন্য কেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বেড যে বেচেলগুলো আছে সব সংকোচিত হয়ে যায়। খিচুনি আসে এর মধ্যে বোমিন থাকার জন্য তেজস্ক্রিয়তার কারণে শরীরের কোনো ক্ষতি না করে তার টোটাল বডিটা স্কানিং করে দেয়। তার বডিটা বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমরা বলি যে তাকে একটা শুকায় দিল বা খাওয়ায় দিল যা বলায় তাই শুনবে। লেবুরেশনারী ভাব তাকে নিয়ন্ত্রণ করেন তাহলে যে কোনো ঘটনা ঘটায় দিবে।
অভিযানে থাকা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বলেন, শুভ পোল্যান্ড থেকে দুই শতাধিক ডিওবি এনেছিলেন। আমরা অভিযানের সময় তার কাছে পেয়েছি ৯০টি। বাকিগুলো বিক্রি ও সেবন করেছে।
খুলনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ডিওবি বিক্রির জন্য শুভর সেলার রয়েছে বলে জানান হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫-৬ জন সেলার আছে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে একজন সেলার।
গ্রেপ্তারকারীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
কালের আলো/বিএস/এমএইচ