চীন-রাশিয়াও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 6:47 pm | November 18, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
চীন ও রাশিয়াও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতিসংঘে এই প্রথমবারের মতো সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। রাশিয়া-চীন আগে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাধা দিতো। তবে তারা এবার চুপ ছিল। তারাও এই সমস্যা দূর করতে চায়। রাশিয়ার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে, চীনের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। সব দেশই রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। এটির রাজনৈতিক মূল্য রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে রোহিঙ্গা ফেরাতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সুখবর।
‘এটি জাতিসংঘের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। নিরাপত্তা কাউন্সিলে এ বিষয়ে আগে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আশা করি আগামীতে আমরা নিরাপত্তা কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেয়াতে পারব।’
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো ঐকমত্যের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত জাতিসংঘের প্রস্তাব গ্রহণ রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে, কারণ দীর্ঘমেয়াদী সংকট সমাধানে এতে রাশিয়া ও চীনসহ সকল দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমাদের জন্য খুবই খুশির খবর। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটি গ্রহণ করা হয়। রেজুলেশনটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ওআইসি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মধ্যকার সমঝোতা চুক্তি সইকে স্বাগত জানায়।’
‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় ২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি বলেন, আমাদের জন্য সুখবর হচ্ছে, জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। আমাদের অনেক দিনের চেষ্টার পর এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা খুব খুশি। এই রেজুলেশন পাস হওয়ায় রাজনৈতিক একটা উপকার পাওয়া যাবে।
জাতিসংঘে পাস হওয়া রোহিঙ্গা রেজুলেশন নিরাপত্তা পরিষদে পাস করতে ভূমিকা রাখবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সিকিউরিটি কাউন্সিলে রেজুলেশন পাস করাটা খুব জরুরি। সিকিউরিটি কাউন্সিলে পাস করোনোর ক্ষেত্রে এটা আসলে বেশি ভূমিকা রাখবে না। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন পাস হয় সিকিউরিটি কাউন্সিলের আগ্রহে। পাঁচ সদস্য এক না হলে এটা হয় না।

কালের আলো/এসবি/এমএম